নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর : বিশ্বকাপ চলাকালীন দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য লেজার শো-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও ম্যাচ চলাকালীন এই লেজার শো প্রদর্শনী নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর মতে, এটা ক্রিকেটারদের জন্য ক্ষতিকর এবং নির্বোধের মতো ভাবনা। বুধবার কোটলার ২২ গজ সাক্ষী থেকেছে ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং তাণ্ডবের। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতরানের নতুন রেকর্ড গড়েছেন ম্যাড ম্যাক্স।
আরও পড়ুন-আলিপুর জেল মিউজিয়ামে রাজ্যের বিজয়া সম্মিলনী
কিন্তু এমন দিনেই লেজার শো নিয়ে কড়া মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিলেন অস্ট্রেলীয় তারকা। ঘটনার সূত্রপাত, নেদারল্যান্ডসের ইনিংসের শুরুতে। হঠাৎ করেই ম্যাচ থামিয়ে গোটা স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। স্পিকারে বেজে ওঠে মিউজিক। সুরের তালে তালে ফ্লাড লাইটের আলো জ্বালিয়ে-নিভিয়ে মোহময়ী পরিবেশ তৈরি করা হয়। শুরু হয় লেজার শো-এর কেরামতিও। দর্শকরাও মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে এতে শামিল হন। প্রায় মিনিট দু’য়েক এভাবে চলার পর ফের শুরু হয় ম্যাচ।
আরও পড়ুন-স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে আরও ২৩ হাজার পড়ুয়াকে শিক্ষা ঋণ
আলোর খেলা চলাকালীন ম্যাক্সওয়েলকে দেখা গিয়েছিল হাত দিয়ে নিজের চোখ ঢেকে রাখতে। পরে এই প্রসঙ্গে নিজের বিরক্তি উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ক্রিকেটারদের জন্য এটা নির্বোধের মতো ভাবনা। ম্যাচের মাঝে হঠাৎ করে আলো নিভিয়ে দেওয়া পর ফের তা জ্বালানোয় চোখে সমস্যা হয়। মনে আছে, পারথে একবার এভাবেই লেজার শো-এর পর স্বাভাবিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার অনেকটা সময় লেগেছিল। মনে হচ্ছিল, মাথা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে আমি চোখ ঢেকে রাখি। আমার মতে, এটা একটা খুব খারাপ পরিকল্পনা। যদিও ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে একমত নন তাঁরই সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমার তো আলোর খেলাটা দারুণ লেগেছে। কী অসাধারণ পরিবেশ!
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের হাতেকলমে রাসায়নিক বিক্রিয়া বোঝাবে যন্ত্র, কালনার শিক্ষকের আবিষ্কার পেল পেটেন্ট
ম্যাক্সওয়েল আবার জানিয়েছেন, দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেও, এই ম্যাচের আগে তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না। তাঁর বক্তব্য, আগের রাতে ভাল ঘুম হয়নি। তাই খুব ক্লান্ত লাগছিল। ড্রেসিংরুমে চুপচাপ বসে ছিলাম। ব্যাট করতে যেতে ইচ্ছে করছিল না।