প্রতিবেদন : ওষুধে জীবন বাঁচে আবার ওষুধে বিজেপিও বাঁচে। হেঁয়ালি ভাবছেন! একদম নয়, এটাই ঘটেছে। দেশের প্রথম সারির একাধিক ওষুধ কোম্পানি কোটি কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডে দিয়েছে। আর মোদি-শাহকে খুশি করতে গিয়ে জীবন যাচ্ছে আমজনতার। অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়েছে ওষুধ কোম্পানিগুলো। আর চড়া দামে ওষুধ কিনতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। আর কে না জানে বিজেপিকে খুশি না রাখলে যে কোনও মুহূর্তে ইডি-সিবিআই হানা দিতে পারে তাদের কোম্পানিতে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সাধ করে সে ঝুঁকি আর কে নিতে চায়! তার থেকে ইলেক্টোরাল বন্ডের নামে টাকা দাও আর খুশ থাকো। দেশবাসী মরে মরুক। এরকম তো কতই মরে! জানা গিয়েছে, ইলেক্টোরাল বন্ডে যারা বিজেপিকে টাকা দিয়েছে তাদের মধ্যে সামনের সারিতে নাম রয়েছে ডাক্তার রেড্ডি’স ল্যাবস (৮৪ কোটি), টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল (৭৮ কোটি), ন্যাটকো ফার্মা (৫৭ কোটি), অরবিন্দ ফার্মা (৫২ কোটি), সিপলা লিমিটেড (৩৯ কোটি), পিরামাইড এন্টারপ্রাইজ (৩৫ কোটি), সান ফার্মা ল্যাবরেটরিজ (৩২ কোটি)। তালিকাটা আরও দীর্ঘ। এই কোম্পানিগুলো যত টাকা বিজেপিকে দিচ্ছে তার দ্বিগুণ টাকা সাধারণ মানুষের থেকে উশুল করে নিচ্ছে। তথ্যই বলে দিচ্ছে কেন এত দাম দিয়ে ওষুধ কিনতে হয় দেশের মানুষকে।
মুখে যতই বড় বড় ভাষণ দিক না কেন, বিজেপি সরকার যে দেশের মানুষকে নিয়ে এতটুকু চিন্তিত নয়, সেটা কার্যকলাপেই স্পষ্ট। ভোটের আগে বড় বড় বিজ্ঞাপনী প্রচারে ‘মোদির গ্যারান্টি’ আসলে সম্পূর্ণটাই ভাঁওতাবাজির রাজনীতি।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেই চাই লোকসভা ভোট : তৃণমূল
মৃত্যুশয্যায় ছটফট করতে থাকা মানুষকে বাঁচাতে বাড়ির লোকেরা ছুটে যায় ডাক্তারের কাছে। রোগীর বাড়ির অসহায়তার সুযোগ নিয়ে লম্বা প্রেসক্রিপশন লেখেন ডাক্তার। আর ওষুধ কিনতে গেলেই হাতে চলে আসে আরও লম্বা একটা বিল। এটাই মোদি সরকারের গ্যারান্টি। ট্রেন টিকিটের ৪০% ছাড় তুলে দিয়েছে রেলমন্ত্রক, বয়স্কদের জন্য কোনও সুযোগ-সুবিধা নেই, রেলের কাজের নামে নিত্যদিন ট্রেন ভোগান্তি, ডাল-তেল থেকে পেঁয়াজ-আদা-রসুন সবটাই অগ্নিমূল্য। দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে না পেরে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের— এটাই মোদি সরকারের গ্যারান্টি, যার জেরে রীতিমতো আতঙ্কে নবীন থেকে প্রবীণ। মানুষ দায়ে পড়ে ডাক্তারের কাছে যায়, ওষুধ খায়। কিন্তু মানুষের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে যারা ব্যবসা করে, ইলেক্টোরাল বন্ড বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভরে, তারা কি আদৌ মানুষের হিতাকাঙ্ক্ষী হতে পারে? এই মোদি সরকারের আয়ু যত বাড়বে দেশের মানুষের অবস্থা ততই নিম্নমুখী হবে। তথ্য- পরিসংখ্যান তাই বলছে।