সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেই চাই লোকসভা ভোট : তৃণমূল

লোকসভা ভোট হোক সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে, মঙ্গলবার এই দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস।

Must read

প্রতিবেদন : লোকসভা ভোট হোক সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে, মঙ্গলবার এই দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাবি জানিয়ে বিজেপিকে বিঁধে লিখেছেন, বিজেপি কি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে! যে-কারণে তাদের নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করতে হচ্ছে? একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে একদিনের মধ্যে পুনরায় বদলের তুঘলকি সিদ্ধান্তকে তুলোধোনা করেও তিনি লেখেন, কমিশন নাকি হিজ মাস্টার ভয়েস? জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই বিজেপির। সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধে ভোট পরিচালনা অসম্ভব। তাই সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ভোট চায় তৃণমূল।

আরও পড়ুন-৩১-এ ৬ বিজেপি, তবু . . .

ভোট ঘোষণার আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ভোট ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল যে, নির্বাচন কমিশন চলে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে। যেভাবে বিজেপির কথায় কমিশন কর্তারা, পুলিশ-প্রশাসনে বদল আনছেন এবং তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাতে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরপেক্ষতা আশা করা যাচ্ছে না। তাই সরব হয়েছে বাংলা। সরব হয়েছে তৃণমূল। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা শুরু হয়েছে। তারপর বাংলায় সাত দফায় ভোটের ঘোষণা হয়েছে। তাতেও ভয় কাটেনি বিজেপির। সোমবারই নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি রাজীব কুমারকে অপসারিত করে বিবেক সহায়কে রাজ্য পুলিশের নতুন প্রধান হিসাবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বদল করা হল ডিজিকে। বিবেক সহায়কে সরিয়ে সেই পদে বসানো হল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। কমিশনের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে সাংবিধানিক সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতার অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ভোট চেয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে চিঠি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজির পদে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে বসানোর নির্দেশ দেয়। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে অপসারিত করে তিনজনের নাম চেয়েছিল কমিশন। প্রথম নাম ছিল বিবেক সহায়ের। দ্বিতীয় নাম সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও তৃতীয় নাম রাজেশ কুমারের। বিবেক সহায়কে পদে বসানোর ২৪ ঘণ্টা পরে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-ডাউন সিনড্রোম

এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে দখল করতে চাইছে। কখনও বিচারব্যবস্থার শীর্ষ প্রতিনিধিকে সরিয়ে নিজেদের লোক দেবে, কমিশনের বিভিন্ন আধিকারিকদের সরিয়ে নিজেদের লোক বসাবে। এজেন্সিগুলিকে তো সম্পূর্ণ নিজেদের দলের শাখা সংগঠন বানিয়ে রেখেছে। এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। তাই তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন সাফ জানিয়েছেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চাই।

Latest article