প্রতিবেদন : মধ্যযুগীয় নৃশংসতা। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে জুতো চাটিয়ে মূত্রপান করতে বাধ্য করা হল এক যুবককে। জুতোর মালা পরিয়ে দিয়ে ব্যাপক মারধরও করা হয়েছে। লজ্জাজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে। এইরকম মধ্যযুগীয় বর্বরতা কি গেরুয়া রাজ্যের প্রশাসনের অপদার্থতাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে না? কী অপরাধ ওই যুবকের? কেউ কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেনি পুলিশের কাছে।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, গ্রেফতার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
তবে একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে তাঁর দিকে। বিবাহিত মহিলাকে নিয়ে যুবকটি পালিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেই তাঁকে খুঁজে বের করে শুরু হয় অত্যাচার। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যদি এই অভিযোগ আদৌ সত্যি হয়, তা হলে পুলিশের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হল না কেন? জনতাকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দেখেও কেন চুপ ছিল পুলিশ? কী করছিলেন শাসক দলের নেতারা? সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ভিডিও থেকেই জানাজানি হয় বিষয়টা। পুলিশের মতে, দুটি ভিডিওই দিন চারেকের পুরনো। একটিতে দেখা যাচ্ছে, যুবকটির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কয়েকজন। ব্যাপক শারীরিক নির্যাতনের পরে জুতোর মালা পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। ভিড়ের মধ্যেই দেখা গিয়েছে সেই মহিলাকে, যাঁকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে যুবকটির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-মন্ত্রী-বিধায়ক-কর্মীদের নিয়ে সাইকেলে বাজারে, কিনলেন মাছ-সবজি
আর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জুতো চাটানো হচ্ছে যুবকটিকে। পান করানো হচ্ছে তরল। পরে জানা যায়, জোর করে মূত্রপান করানো হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় স্তম্ভিত সর্বস্তরের মানুষ। গেরুয়া সরকারের বিরুদ্ধে ঝড় উঠেছে নিন্দার। সম্ভবত লোকলজ্জাতেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বিধ্বস্ত যুবক। পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়েও খোঁজ পায়নি। যে মহিলাকে ঘিরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি পাশের গ্রামের যাযাবর সম্প্রদায়ের মহিলা। কিন্তু এই অভিযোগ কতটা সত্যি, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য বা উদ্দেশ্য আছে প্রশ্নটা সেখানেই। কিন্তু নীরব কেন শাসক গেরুয়াপক্ষ?