প্রতিবেদন : মাঠে একদঙ্গল মেয়ে ফুটবল নিয়ে দাপাদাপি করছে। শাড়ি পরা এক মহিলা চিৎকার করে নির্দেশ দিচ্ছেন, বলে শট মেরে দেখাচ্ছেন। স্বপ্ন ছিল ফুটবলার হওয়ার। কিন্তু মেয়ে হয়ে ফুটবল খেলবে কী! রে রে করে ওঠেন সমাজপতিরা। অগত্যা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন মুলতুবি রাখতে হয়, ছাতনা দুমদুমির ভারতী মুদি (Bharati Mudi) কোড়ার। নিজের হয়নি তো কী! ২০০৯ সাল থেকেই মেয়ে ফুটবলার তৈরি করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। নিজের চার মেয়েও রয়েছে। ভারতীর প্রশিক্ষণ পেয়ে মেয়েরা জেলাস্তরে তো বটেই, কেউ কেউ রাজ্যস্তরে, এমনকী জাতীয়স্তরেও ফুটবল দলে খেলছে। এবার ভারতীর লক্ষ্য তাদের আন্তর্জাতিক স্তরে পাঠানোর। নিজে পারেননি তো কী হয়েছে, তাঁর হাতে গড়া মেয়েরা নানা জায়গায় সাফল্যের সঙ্গে খেলছে, এটাই তাঁর কাছে গর্বের, আনন্দের। স্বামী শক্তিপদ মুদির পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়েছে দল— দুমদুমি আদিবাসী তরুণী ব্রজেন সঙ্ঘ। সেই দলে তাঁর চার মেয়ে তানিয়া, কেয়া, পূজা ও মিত্রাও রয়েছে। কলকাতা লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্রজেন সঙ্ঘ ১৪ গোলে হারায় সেবায়নী ক্লাবকে। ভারতী (Bharati Mudi) জানালেন, তাঁদের বাড়ির দুটি ঘর খেলোয়াড়দের। ওখানে তারা একসঙ্গে খায়, পড়াশোনা করে। যারা প্রশিক্ষণ নিতে আসে, সেই মেয়েদের বেশিরভাগই খুব গরিব ঘরের। তাই তাঁর একার পক্ষে ওদের সরঞ্জাম ইত্যাদি জোগাড় করা কষ্টকর। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে ভাল হয়। তবে সাহায্য মিলুক না মিলুক তিনি তাঁর লড়াই চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: পুজোর মরশুমে পথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের