আধুনিক প্রযুক্তি টালা ট্যাঙ্কের ‘আয়ু’ বাড়াল

নবনির্বিত এই নতুন চারটি জলাধার টালা ট্যাঙ্কে সংযোজিত হওয়ায় উত্তর কলকাতা মধ্য কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতার একাংশে জল সরবরাহের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে

Must read

প্রতিবেদন : কলকাতার ঐতিহ্য, বহু ইতিহাসের সাক্ষী টালা ট্যাঙ্কের সংস্কার ও আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হল। বৃহস্পতিবার শতাব্দীপ্রাচীন টালা ট্যাঙ্কের নতুন স্টিল ওভারহেড ট্যাঙ্কের চারটি নতুন প্রকোষ্ঠের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ৯ মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন তৈরি এই নতুন স্টিল রিজার্ভারের ফলে কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল সরবরাহ আরও বেশি গতি আসবে বলে জানান ফিরহাদ।

আরও পড়ুন-স্মৃতিদের বিরাট, নেতৃত্ব ছেড়েছি বিশ্বাস হারিয়ে

তিনি জানান, টালা ট্যাঙ্কের সংস্কার ধাপে ধাপে করা হয়েছে যাতে জল সরবরাহ বিঘ্নিত না হয়। মেয়র বলেন, টালা ট্যাঙ্কের নতুন ইস্পাতের কাঠামো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে আগামী ১০০ বছরেও তা অটুট থাকবে। আগামী শতাব্দীর লোক এর নির্মাণ কৌশল দেখতে আসবেন। নবনির্বিত এই নতুন চারটি জলাধার টালা ট্যাঙ্কে সংযোজিত হওয়ায় উত্তর কলকাতা মধ্য কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতার একাংশে জল সরবরাহের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনায় ব্রিজ অ্যান্ড রুফ সংস্থা এই জলাধার তৈরি করেছে। কোভিডজনিত পরিস্থিতির কারণে নির্মাণে সময় কিছুটা বেশি লেগেছে। তৈরি করতে সময় লেগেছে চার বছর। মানুষকে উন্নত পুর পরিষেবা দেওয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলে ফিরহাদ হাকিম মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন-ড্রোন ধ্বংস নিয়ে কথা কাটাকাটি আমেরিকা-রাশিয়ার

ইংল্যান্ড থেকে ইস্পাত এনে টালা ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। ১৯০৭ সালের অগাস্ট মাসে এই জলাধার তৈরির কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৯০৯ সালের ১৮ নভেম্বর। সাত হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত দিয়ে এই জলাধার তৈরি করে ব্রিটিশরা। বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ টাইটানিক যে ইস্পাতে তৈরি হয়েছিল, তা দিয়েই গড়া হয়েছিল টালা জলাধার। জলাধারে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৮৫ বর্গফুট এলাকাজুড়ে ইস্পাতের পাত বসানো রয়েছে। শতাব্দীপ্রাচীন এই টালা ট্যাঙ্কের মাধ্যমে কলকাতায় জল সরবরাহ করা হত। তার পর ১৯৭৭ সালে গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্প শুরু হওয়ায় চাপ কমে। প্রায় চার লক্ষ বোল্টের মাধ্যমে জলাধারের একটি অংশের সঙ্গে অপরটি জোড়া। ২৯৫টি লোহার স্তম্ভের উপরে ৮৫০০ টন লোহার ওই কাঠামোর প্রয়োজনীয় মেরামতির পাশাপাশি তাকে মজবুত করার কাজও চলছে।

Latest article