ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড, তৃণমূলের চাপে মাথা নোয়াল মোদি সরকার

Must read

সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি: ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড (fake voter ID) ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ গোটা বিরোধী শিবিরের এককাট্টা মনোভাব দেখে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়ে সুর নরম করতে বাধ্য হল মোদি সরকার৷ সংসদীয় সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু নিজে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং ভুয়ো এপিক কার্ড নিয়ে বিরোধী শিবিরের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন৷
ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের (fake voter ID) ইস্যুতে সংসদের এই অধিবেশনেই আলোচনা করতে হবে, আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল৷ সংসদীয় সূত্রের দাবি, এই ইস্যুতে সংসদীয় কক্ষে আলোচনার দাবিতে অনড় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদ ফের সংসদে মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিশ জমা দিয়েছেন, যেখানে সব সংসদীয় কাজ বন্ধ রেখে জরুরি ভিত্তিতে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে৷ তৃণমূলের দেখানো পথে হেঁটে একই দাবিতে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, শিবসেনা (উদ্ধব), এনসিপি (শরদ), বিজেডি, জেএমএম, আম আদমি পার্টি, আইইউএমএল-র মতো আরও ৯টি বিরোধী দল সংসদে নোটিশ জমা দিয়ে রাজ্যসভায় এপিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য সরব হয়েছে৷
লক্ষণীয়, নিজেদের অবস্থান থেকে এক বিন্দুও সরতে নারাজ তৃণমূল শিবির৷ তাদের দাবি, চলতি সংসদ অধিবেশনের যে ১০ দিন বাকি আছে তারমধ্যেই সবিস্তারে আলোচনা করতে হবে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের বিষয়টি৷ বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, গত মাসের ২৭ তারিখে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে ভুতুড়ে ভোটার কার্ড ইস্যুতে প্রথম সরব হয়েছিলেন৷ তাঁর নির্দেশেই আমাদের দাবি হল, সংসদে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যুতে আলোচনা করতে হবে৷ সব দলকে বলতে সুযোগ দিতে হবে। সরকার ঠিক করুক আলোচনা কীভাবে শুরু করবে। আমরা চাই সংসদ চলুক৷ সেই সময়েই আলোচনা হোক ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যু নিয়ে৷ এই ইস্যুতে আলোচনা না হলে গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল হবে না৷

আরও পড়ুন-পরীক্ষাকেন্দ্র ভাঙচুর দাবি ক্ষতিপূরণের

Latest article