দেশে চক্রান্তের সিএএ (CAA) লাগু করল মোদি সরকার। জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি। ১১ মার্চ ঠিক সন্ধে বেলা দেশজুড়ে কার্যকর হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই সিএএ আইনে পরিণত করিয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিল পাশ হওয়ার পর চার বছর পর চালু হল হল সিএএ। আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে এসে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে এই দেশ।
প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরই মোদি জানান, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অ-মুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ২০১৯ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় এসে তিন প্রতিবেশি দেশের অ-মুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিল পাশ করে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে তা আইনেও পরিণত হয় ২০১৯ সালে। তবে দেশের একাধিক রাজ্য এই আইন (CAA) কার্যকর করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাও তার মধ্যে একটি রাজ্য যেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে এই আইনের বিরোধিতা করে এসেছেন।
একাধিক রাজ্যের প্রতিরোধে ২০১৯ সাল থেকে এই আইন কার্যকর করতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। এবার কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে একটি পোর্টাল চালু করা হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। সেখানে আবেদনের মাধ্যমে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের পরে ছয় ধর্মের যারা তিন প্রতিবেশি দেশ থেকে এসেছেন তাদের জন্য প্রযোজ্য এই আইন।
ঐতিহাসিকভাবে আইনে পরিণত হওয়ার সাড়ে চার বছর পর কার্যকর হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। যার ফলে এই আইনের নাম হল সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৯। আর যে নিয়মগুলি মেনে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে হবে তার নাম সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) রুলস, ২০২৪। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাষ্ট্রপতির সাক্ষর হয়ে আইনে পরিণত হয়ে যাওয়ার ছয়মাসের মধ্যে লাগু করতে হবে। অসাধারণ রাজনৈতিক পরিকল্পনার ফলে অমিত শাহ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বারবার শুধু দিন বাড়িয়ে গিয়েছেন আইন কার্যকর করার জন্য। আবার নাগরিক হওয়ার আবেদনের গোটা প্রক্রিয়া করা যাবে শুধুমাত্র অনলাইনে, জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।