প্রতিবেদন : মণিপুর ইস্যুতে এবার রাষ্ট্রসংঘে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের। লাগাতার হিংসায় জর্জরিত উত্তর-পূর্বের এই বিজেপি রাজ্যে সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটলেও চেপে যাচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি প্রশাসন। এখনও বিক্ষিপ্ত হিংসা চলছে মণিপুরের বিভিন্ন জায়গায়। মেইতেই ও কুকিদের সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটছে। এই পরিস্থিতির মাঝেই এবার মণিপুরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মোদি সরকারকে তোপ দাগল রাষ্ট্রসংঘ। আন্তর্জাতিক স্তরে চাপের মুখে পাল্টা এই রিপোর্টকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের দাবি, পূর্ববর্তী ধারণার বশবর্তী হয়ে রিপোর্ট পেশ হয়েছে।
আরও পড়ুন-ভারত ও তুরস্কে নকল লিভারের ওষুধের রমরমা, সতর্কতা জারি করল হু
গত ২৯ অগাস্ট মণিপুর হিংসা নিয়ে ভারত সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ‘স্পেশ্যাল প্রসিডিউর ম্যানডেট হোল্ডার’ বা বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পেশ করা ‘ইন্ডিয়া: ইউএন এক্সপার্টস অ্যালার্মড বাই কনটিনিউইং অ্যাবিউসেস ইন মণিপুর’ শীর্ষক রিপোর্টে রীতিমতো তুলোধোনা করা হয়েছে মোদি সরকারকে। বলা হয়েছে, মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো, গণধর্ষণ, হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এসব ঘটনায় প্রবলভাবে মানবাধিকার হনন হয়েছে। পরিস্থিতি এত জটিল হওয়া সত্ত্বেও ভারত সরকার যথাযথ ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ভয়াবহ ছবি আন্তর্জাতিক রিপোর্টে উঠে আসায় স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছে মোদি সরকারের।
আরও পড়ুন-গগনযান মিশন নিয়ে ব্যস্ত ইসরো
রাষ্ট্রসংঘের এই কড়া রিপোর্টের চাপে প্রবল অস্বস্তিতে মোদি সরকার। এই রিপোর্টের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি দলের তরফে। সরকারের বক্তব্য, যে রিপোর্ট পেশ হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর এবং পূর্ববর্তী ধারণাপ্রসূত।