নয়াদিল্লি : গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার কর্নাটক বিজেপি। তার উপর বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ এবং তীব্র প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া। বিধানসভা ভোটের মুখে কর্নাটকের গেরুয়া শিবিরের ছন্নছাড়া দশা। একাধিক প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় দাক্ষিণাত্যের এই রাজ্যে মোদির দলের পরাজয়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
আরও পড়ুন-নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিজেপির অপসংস্কৃতির জবাব
এই আবহে খড়কুটোর মতো কর্নাটক বিজেপির ভরসা এখন নরেন্দ্র মোদিই। বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েই এখন টানাটানি। আগামী এক মাসে এ-রাজ্যে শুধু প্রধানমন্ত্রীরই ২০টি জনসভা ও র্যালি হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। টিকিট না পেয়ে হাভেরি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নেহারু ওলেকার বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এবং তার আগে বোম্মাই যেসব দুর্নীতি করেছেন এবার তা ফাঁস করব। এই দুর্নীতির তদন্ত চাই। বিধায়কের অভিযোগ, ২০১৮ সালেও তাঁকে প্রার্থী না করার চক্রান্ত করেছিলন বোম্মাই। এখনও পর্যন্ত ১৪ জন বর্তমান বিধায়ককে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-রাহুল মামলায় রায়দান স্থগিত
টিকিট না পাওয়া বিধায়করা অধিকাংশই কংগ্রেস বা জেডিএস-এর দিকে পা বাড়াচ্ছেন। অনেকেই নির্দল হয়ে বিজেপির ভোট কাটার ঘোষণা করেছেন। লিঙ্গায়েত গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা নিজের অনুগতদের সবাইকে প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে না দিতে পেরে দলের উপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। এবারের নির্বাচনে তিনি নিষ্ক্রিয় থাকতে পারেন বলে রাজ্য বিজেপি শিবিরের আশঙ্কা। এর পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে কর্নাটকের বাসিন্দা হওয়ায় রাজ্যে বিজেপির মূল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস এবার ক্ষমতায় ফেরার আশা করছে। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার মূল কান্ডারি ডি কে শিবকুমার কর্নাটক কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি হয়ে সংগঠন অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছেন।