প্রতিবেদন : সিবিআই কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের হাতিয়ার ছিল। তাই দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গুজরাত-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে চক্রান্ত করে হেনস্তা করছে। একথা নরেন্দ্র মোদির। ২০১৩ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদির মুখে সিবিআই সম্পর্কে এই কথা শোনা গিয়েছিল। সোমবার সিবিআইয়ের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিবিআইয়ের প্রশংসা করে বলেন, আগামীতে তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন-হয় বিজেপির পক্ষে না হয় বিপক্ষে, এটাই এখন দেশের ডাক, বিরোধী সম্মেলনে বললেন ডেরেক
প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা বলছে, মোদি জমানাতেও সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপরই এই দাবির পক্ষে একাধিক যুক্তি হাজির করেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সিবিআই সম্পর্কে মোদির পুরনো মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি সিবিআই সম্পর্কে যে অভিযোগ করতেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর সম্পর্কেও এই একই অভিযোগ। সিবিআইতে অনেক দক্ষ ও যোগ্য অফিসার আছেন। তাঁদেরকে যেভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ব্যবহার করছে বিজেপি তাতে সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁদের সুনামও নষ্ট হচ্ছে। সিবিআইয়ের ভাল যোগ্য অফিসাররা থাকলেও তাঁদেরকে কাজ করতে দেয় না।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন শুরু
উদাহরণ হিসেবে কুণাল শুভেন্দুর প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, নারদায় সিবিআই এফআইআর করেছে শুভেন্দুর নামে। অভিযুক্ত স্বীকারও করেছে, নারদার ঘটনা প্রমাণিত সত্য। কিন্তু তারপরও সিবিআইয়ের ক্ষমতা নেই শুভেন্দুকে গ্রেফতারের। এরপরও প্রধানমন্ত্রী বলছেন, সিবিআই নিরপেক্ষ। বিজেপিতে গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের এফআইআর নেমড শুভেন্দু অধিকারীকে দেখতে পাচ্ছে না সিবিআই। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে যে কোনও লোকই বলবেন, প্রধানমন্ত্রী নাটক করছেন, মিথ্যে বলছেন, দ্বিচারিতা করছেন।