প্রতিবেদন : জাতপাতের নামে রাজনীতি আর বর্ণভেদ-বঞ্চনার আখড়া হয়ে উঠেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। এবার খোদ মোদিরাজ্য গুজরাতেই দেখা গেল এমন ঘটনা যেখানে দলিত নিগ্রহে মদত দিচ্ছে খোদ প্রশাসন! খোদ প্রধানমন্ত্রীর খাসতালুক গুজরাতে দলিত পরিচালিত ডিলারের থেকে রেশন নেওয়া পাকাপাকিভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। গুজরাতের পাটন জেলার ওই রেশন দোকান থেকে সাধারণ মানুষকে রেশন নিতে একেবারেই বারণ করে দিয়েছেন জেলাশাসক। ইতিমধ্যে ৪৩৬ রেশন কার্ড হোল্ডারদের কার্ডও ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। জেলাশাসক সাফ জানিয়েছেন, দলিত ডিলারের দোকান থেকে কোনওভাবেই সাধারণ মানুষ রেশন তুলবেন না, তার পরিবর্তে পাশের গ্রাম এদলা থেকে প্রয়োজনীয় রেশন তুলতে হবে। দলিতদের প্রতি নির্বাচিত সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রশাসনের এমন বেআইনি ভূমিকা কার্যত নজিরবিহীন।
আরও পড়ুন-কৃষক সেতুর পাশে নতুন সেতু গড়ার কাজে একধাপ এগোল জেলা পূর্ত দফতর
জানা গিয়েছে, পাটন জেলার কানোসান গ্রামের বেশিরভাগ কার্ড হোল্ডারই উচ্চবর্ণের ঠাকুর সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, উচ্চবর্ণের মানুষ হয়েও তাঁরা কেন একজন দলিত ডিলারের থেকে রেশন নেবেন? এরপরই তাঁদের এই নির্লজ্জ অযৌক্তিক দাবিকে মান্যতা দিয়ে চরম বেআইনি সিদ্ধান্ত নেয় সেখানকার জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে স্থানীয় ২৬৮ জন বাসিন্দার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এদের মধ্যে ২৬০ জন কার্ড হোল্ডার পাশের গ্রাম থেকে রেশন নেওয়ার পক্ষেই সম্মতি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন-মাঠে ফিরেই ফের চোট পেলেন মেসি
চাপে পড়ে জেলাশাসকের সাফাই, ওই রেশন দোকান থেকে এলাকার মানুষ রেশন নিতে অস্বীকার করছেন। পাশাপাশি ধীরে ধীরে রেশন বিতরণের হার তলানিতে ঠেকেছে। সে-কারণেই নাকি ওই রেশন দোকান থেকে রেশন নিতে বারণ করেছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকারের দলিতদের প্রতি এই জঘন্য অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমালোচনায় সরব নানা মহল। প্রশাসন কীভাবে এমন দলিত-বিদ্বেষী মানসিকতাকে প্রশ্রয় দেয়, উঠছে সেই প্রশ্ন।