কৃষক সেতুর পাশে নতুন সেতু গড়ার কাজে একধাপ এগোল জেলা পূর্ত দফতর

যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও রোজ ৭-৮টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর সমাধানে তাই উদ্যোগী জেলা প্রশাসন।

Must read

সংবাদদাতা, বর্ধমান : বর্ধমান-আরামবাগ রোডের উপর পুরনো কৃষক সেতুর পাশে নতুন সেতু গড়ে তোলার কাজে এক ধাপ এগোল জেলা পূর্ত দফতর।কৃষকসেতুর বয়সের কথা ভেবে দু’বছর আগে ওই সেতুর পূর্ব দিকে নিজেদের জমিতেই নতুন সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পূর্ত দফতর। নতুন সেতুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মন্ত্রিসভায় ব্যাখ্যা দেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তাঁর উদ্যোগেই ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন সেতুর জায়গা সরজমিনে দেখে যান পূর্ত দফতরের সচিব অন্তরা আচার্য-সহ অন্য আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন-পদযাত্রায় মন্ত্রী, হেরিটেজ কৃতিত্ব কারও একার নয়

জুলাইয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়ে দফতরে। অনুমতি-সহ তা অর্থ দফতরে পাঠানো হয়।অর্থ দফতর কিছু ব্যাখ্যা চাইলে তাও দেওয়া হয়। চলতি বছরেই ৪১০ কোটি টাকার প্রকল্পটির অনুমোদন মিলবে বলে জেলা পূর্তকর্তাদের আশা। বর্ধমান ২ এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আগেই পূর্ত দফতরের অনুমতি মিলেছিল। ডিপিআর জমা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত অনুমোদ মিলবে বলে আশা।’ পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, বর্ধমানের তেলিপুকুর থেকে বাঁকুড়া মোড় পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা চার লেনের হবে। সেইমতো দু’লেনের কৃষক সেতুর পূর্ব দিকে আরও একটি দু’লেনের সেতু গড়া হবে। নতুন সেতুটি সংযোগকারী রাস্তা ধরে ১২০০ মিটার লম্বা ঘবে। কৃষক সেতুর আগে ইডেন ক্যানেলের পাশে প্রথমে ৮০ মিটার লম্বা দু’লেনের সেতুটি তৈরি হবে। পরে পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু তৈরির প্রস্তাব নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী ফিরলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, দালাল চক্র ঠেকাতে এবার চালু দুয়ারে দলিল পরিষেবা

সেতু-সহ রাস্তা জুড়ে আলোর ব্যবস্থা থাকবে। কৃষক সেতু থেকে খণ্ডঘোষের পলেমপুর পর্যন্ত জমি নির্ধারণের কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, বর্ধমান-আরামবাগ রাজ্য সড়কের মাধ্যমে বর্ধমানের সঙ্গে বাঁকুড়ারও যোগাযোগ আছে। এছাড়াও বর্ধমান শহরের সঙ্গে রায়না, মাধবডিহি, খণ্ডঘোষ ও জামালপুরের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগের মূল মাধ্যম ওই রাস্তা। ১৯৭৮ সালে ‘কৃষক সেতু’ চালু হয়। বয়স হওয়ায় ওই সেতুর পাশে নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া শুরুতে রোজ আড়াই হাজারের মতো গাড়ি চললেও এখন ভারী যান-সহ ২৭ হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও রোজ ৭-৮টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর সমাধানে তাই উদ্যোগী জেলা প্রশাসন।

Latest article