ঝুপড়ি ও বস্তিবাসীদের স্বার্থে মানবিক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের, এবার আউটডোরের সময়সূচিতেও বদল

খেটে খাওয়া গরিব মানুষের স্বার্থে এবার মানবিক সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ঝুপড়ি ও বস্তিবাসীদের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় রুটি-রুজির টানে

Must read

প্রতিবেদন : খেটে খাওয়া গরিব মানুষের স্বার্থে এবার মানবিক সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ঝুপড়ি ও বস্তিবাসীদের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় রুটি-রুজির টানে। ফলে শরীর খারাপ হলেও সুযোগ মেলে না হাসপাতালে যাওয়ার। কারণ হাসপাতালের আউটডোরের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো। তাই তাঁদের স্বার্থে এবার হাসপাতালের আউটডোরের সময়সূচিতেই বদল আনল রাজ্য প্রশাসন। নেওয়া হল বিশেষ পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন-কৃষক সেতুর পাশে নতুন সেতু গড়ার কাজে একধাপ এগোল জেলা পূর্ত দফতর

এবার থেকে বস্তিবাসী সহ গরিব মানুষের জন‌্য পুর ও আরবান হেল্‌থ ক্লিনিক সপ্তাহে দু’দিন দুপুর দুটো থেকে সন্ধ‌্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সন্ধ‌্যা সাতটার সময় শেষ রোগীকে দেখে তবেই ক্লিনিক বন্ধ করতে হবে। দেখে নেওয়া হবে কেউ যাতে বাদ না যায়। স্বাস্থ‌্য দফতরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের স্বাক্ষরিত এমনই নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলকাতা পুর এলাকা সহ প্রতিটি জেলার মুখ‌্য স্বাস্থ‌্য আধিকারিক ও জেলাশাসককে এই নির্দেশটি যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে। তার জন‌্য বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, শহুরে জনসংখ‌্যার ২০-২৫ শতাংশ মানুষ বস্তিবাসী।

আরও পড়ুন-পদযাত্রায় মন্ত্রী, হেরিটেজ কৃতিত্ব কারও একার নয়

এঁদের মধ্যে কেউ রিকশাচালক, কেউ আবার কাগজকুড়ানি বা পরিচারিকার কাজ করেন। সমস‌্যা হল, এই গরিব মানুষগুলোর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলেও হাসপাতালে যেতে পারেন না, কারণ হাসপাতালে গেলে একদিনের রোজগার মার যাবে। সঠিক সময়ে ওষুধ খেতে পান না, তাই রোগও সারে না। অনেক সময় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুও হয়। আবার খরচার জেরে বেসরকারি হাসপাতালের দরজাও তাঁদের জন্য বন্ধ। তাহলে এইসব গরিব মানুষের রোগব্যাধি হলে একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ‌্যকেন্দ্র। তাই ওঁদের হাসপাতালমুখী করতেই আউটডোরের সময়সূচির বদল করা হচ্ছে। এই নিয়ম যাতে পালন হয় তারজন‌্য সারপ্রাইজ ভিজিটও চলবে প্রশাসনের তরফে।

Latest article