প্রতিবেদন: জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে কি আলাদা করে কথা হয়ছিল শি জিনপিং-নরেন্দ্র মোদির? দু’দেশের পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে গোটা বিষয়টি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চিনের দাবি, ভারতের ইচ্ছাতেই এই বৈঠক হয়েছে। যদিও বেজিংয়ের সেই দাবি পুরোপুরি নস্যাৎ করেছে ভারত। দিল্লির বক্তব্য, চিনই আগে থেকে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলন চলার মাঝে পার্শ্ববৈঠক হয় শি ও মোদির।
তবে ভারতের দাবি, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এ ধরনের কোনও সরকারি পার্শ্ববৈঠক হয়নি। তবে জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মলনের লাউঞ্জে দুই প্রধান সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেছেন। সাধারণভাবে এই ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাঝে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক নতুন কিছু নয়। এগুলি চলতেই থাকে। তবে ভারত-চিনের বর্তমান সম্পর্ক যে জায়গায় রয়েছে, সেখানে এই বৈঠক হয়ে থাকলে তা দু’দেশ তো বটেই, আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের কাছেও তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন-কবি মধুমিতা খুনে ২০ বছর পর মুক্তি সস্ত্রীক প্রাক্তন মন্ত্রীর
কিন্তু দিল্লির দাবি, মোদি-শি কথা হলেও তা মোটেই পার্শ্ববৈঠক ছিল না। অন্যদিকে, চিনা প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে সে দেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, শি বলেছেন, চিন-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি দু’দেশের নাগরিকদের স্বার্থকেই চরিতার্থ করবে। এবং তা শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়নের জন্যও সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন-আজ সামনে কালীঘাট, লিগে সুপার সিক্সে চোখ মহামেডানের
দিল্লি-বেজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শৈত্য আজও কাটেনি। সেই কারণে অনেকেরই নজর ছিল, জোহানেসবার্গের দিকে। কিন্তু, চিনের দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারত জানাল, কোনও পার্শ্ববৈঠক হয়নি।