প্রতিবেদন : ডার্বির আগে ছন্দে মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে এফসিআইকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করল সবুজ-মেরুন। এই জয়ের সুবাদে ডায়মন্ড হারবারকে (৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট) টপকে গ্রুপ ‘এ’-র শীর্ষস্থানে উঠে এল মোহনবাগান (৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট)। ডার্বির কথা ভেবেই সম্ভবত সুহেল ভাটকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিলেন বাগানের সহকারী কোচ বাস্তব রায়। লিগে ৮ গোল করা স্ট্রাইকারের অভাব বুঝতেই দিলেন না বাকিরা। ম্যাচের আগেরদিন বাস্তব জানিয়েছিলেন, এফসিআইকে তিনি সমীহ করছেন। কিন্তু তাঁর ফুটবলাররা মাঠে নেমে পাত্তাই দিলেন না বিপক্ষকে।
আরও পড়ুন-ডার্বিতে অভিষেক কামিন্সের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে
নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিলেন কিয়ান নাসিরি, নংদোম্বা নাওরেম, টাইসন সিংরা। ২৭ মিনিটেই প্রথম গোল তুলে নেয় মোহনবাগান। কর্নার থেকে বল বিপন্মুক্ত করতে পারেনি এফসিআই রক্ষণ। বল পেয়ে যান দীপেন্দু বিশ্বাস। তাঁর পাস থেকে সহজেই গোল করে যান রাজ বাসফোর। ৩৭ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কিয়ান। তবে বিরতির ঠিক আগে বাগানকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ভিয়ান মুরগড। এফসিআইয়ের দুই ডিফেন্ডারকে টপকে গিয়ে তাঁকে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন টাইসন।
আরও পড়ুন-পথ দুর্ঘটনা সামলাতে শহরের বাস, ট্রাকের জন্য নয়া সিদ্ধান্ত কলকাতা পুলিশের
দ্বিতীয়ার্ধেও একচেটিয়া দাপট বজায় রেখেছিল মোহনবাগান। ম্যাচ যত গড়িয়েছে, ততই এই চাপ বেড়েছে। ৫৭ মিনিটে এফসিআই রক্ষণের ভুলে ৩-০ করেন নাওরেম। ৮৪ মিনিটে দলের চার নম্বর গোলটি করেন দীপেন্দু। টাইসনের ক্রসে জোরালো হেডে বল জালে জড়ান তিনি। খেলার ইঞ্জুরি টাইমে ৫-০ করেন টাইসন। তীব্র গতিতে এফসিআই রক্ষণে ঢুকে পড়ে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন তিনি। এই গোলটি করা ছাড়াও গোটা ম্যাচে দারুণ খেলেছেন টাইসন।
আরও পড়ুন-বিশ্ব ব্যাডমিন্টন, শুরুতেই বাই পেলেন সিন্ধু, সাত্ত্বিক-চিরাগ
সিনিয়র দলের সাপ্লাই লাইনের কথা মাথায় রেখেই এবারের কলকাতা লিগে মূলত অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদের খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট। টাইসন, সুহেল, রাজ, ভিয়ানরা কিন্তু প্রতি ম্যাচেই প্রমাণ করছেন, সুযোগ পেলে আইএসএলেও তাঁরা হতাশ করবেন না। এদিন, মোহনবাগান মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন সিনিয়র দলের কোচ জুয়ান ফেরান্দো এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ভিআইপি বক্সে বসে দলের বড় ব্যবধানে জয় উপভোগ করলেন তাঁরা। সবুজ-মেরুনের তরুণ ফুটবলারদের খেলা দেখার পর দু’জনের শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল, তাঁরা সন্তুষ্ট। এই দলের অনেকেই যে লম্বা মরশুমে দলের কাজে লাগতে পারেন, তার আভাস এদিন পেয়ে গেলেন জুয়ান-হাবাস জুটি। পাশাপাশি দু’জনকে পেয়েই শনিবারের বড় ম্যাচে জেতার আবদার করতে ভুললেন না মোহনবাগান সমর্থকরা।