প্রতিবেদন : দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দামের থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে রাজ্য সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে শহর কলকাতার রাস্তায় সিংহভাগ ই-ভেহিকেল চালানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে বলে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী আশ্বাস দিয়েছেন। শুক্রবার কলকাতার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে তিনদিনের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে তিনি বলেন, এর ফলে একদিকে যেমন পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে, অপরদিকে তেলের খরচেও রাশ টানা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন-শীতলতম দিন, পারদ নেমে ১৫.৬০
বৈদ্যুতিক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেকটাই কম হবে। রাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে নগরোন্নয়ন দফতর, বিদ্যুৎ দফতর ও পরিবহণ দফতর একযোগে কাজ করবে বলে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে শহর শহরতলিতে এই ভেহিকেলের জন্য ১০০০ চার্জিং সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, শুধু এদেশে অথবা এরাজ্যে নয়, বিশ্বের ভেহিকেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এবং তেলের আকাশছোঁয়া দাম থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক যানবাহন কার্যকরী ভূমিকা নেবে।
আরও পড়ুন-বারাকপুর জুড়ে কড়া নজরদারি পুলিশের
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে পরিবেশ সংক্রান্ত যে সমস্ত সংস্থা রয়েছে সেগুলি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এদেশে খরা এবং প্রখর তাপমাত্রাজনিত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে এখন থেকেই পরিবেশের দূষণ এবং তাপমাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় বা কমানো না যায়, তাহলে সাধারণ মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে ভারতবর্ষ। সেজন্যই যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশ বান্ধব ই-ভেহিকেল রাস্তায় নামানো যায়, ততই মঙ্গল। এদিন অনুষ্ঠান শেষে ই-ভেহিকেল চালান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ও মন্ত্রী শশী পাঁজা।