মীরা মা

তিনি সিদ্ধিলাভ করেছিলেন যোগসাধনায়, ছিলেন আদি শক্তির অবতার। স্বপ্ন দেখতেন এমন একটি শহরের যেখানে ধর্ম-বর্ণ, রাজনীতি ও জাতীয়তা নির্বিশেষে সব দেশের নারী-পুরুষ শান্তি ও প্রগতির সঙ্গে বসবাস করতে পারবে। যাঁর সমগ্র জীবন ছিল অলৌকিকতায় পূর্ণ। তিনি আধ্যাত্মিক গুরু শ্রীঅরবিন্দের ভাবশিষ্যা, সহযোগী পণ্ডিচেরির শ্রীমা। জন্মতিথি উপলক্ষে তাঁকে স্মরণ করলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

‘‘এখনো যদি হাজার হাজার মানুষ অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে থাকে, তাতেও কিছু যায় আসে না। কারণ যাকে আমরা কাল এখানে দেখেছি তিনি এই পৃথিবীতে এসে রয়েছেন। তাঁর উপস্থিতিই যথেষ্ট। এটা প্রমাণ করতে যে, অন্ধকার কেটে এবার আলো ফুটবে। সেই দিন আসন্ন। আর এই পৃথিবীতে প্রভু তোমারই রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।”
ঋষি অরবিন্দের সঙ্গে প্রথম দর্শনে পর শ্রীমা তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন এমন কথা।

আরও পড়ুন-প্রয়াত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ইদ্রিস আলি, শোকপ্রকাশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

মীরা আলফাসা
পল রিচার্ড ছিলেন সেই সময় ফ্রান্সের এক খ্যাতনামা দার্শনিক। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অধ্যাত্মবাদ, যোগা ইত্যাদি বিষয়ে ছিলেন খুব আগ্রহী। তাঁর রাজনীতিতেও বেশ আগ্রহ ছিল। ভারতের পণ্ডিচেরি তখন ফ্রান্সের অধিকারে ছিল। পলের উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে ফ্রান্স সেনেটে জয়লাভ করা। সেই কারণে তিনি পণ্ডিচেরি আসেন। নির্বাচনী কাজে পণ্ডিচেরিতে বেশ কিছুদিন ছিলেন পল। এখানে থাকার সময় তিনি জানতে পারেন শ্রীঅরবিন্দের কথা, তাঁর আধ্যাত্মিক সাধনার কথা। পল নিজেও আধ্যাত্মিক ব্যাপারে খুব আগ্রহী ছিলেন। তাই বেশ কয়েকবার নিজে থেকেই তিনি অরবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর জীবন দর্শন, ভাবধারায় মুগ্ধ এবং প্রভাবিত পল প্যারিসে ফিরে স্ত্রী মীরা আলফাসাকে তিনি অরবিন্দের সব কথা বলেন। অরবিন্দের কথা শুনে মীরা উৎসাহী হয়ে পড়েন। তাঁর যেন মনে হল– এই সেই মানুষ যাঁকে তিনি স্বপ্নে দেখেন। তাঁর মধ্যে আগ্রহ বাড়ে ভারতবর্ষে আসার জন্য।

আরও পড়ুন-এনডিএতে যাবেন না, জানালেন পালানিস্বামী

এরপর যখন পল রিচার্ড দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতে এলেন তখন তাঁর সঙ্গে ফ্রান্স থেকে পণ্ডিচেরি এলেন মীরা। সালটা ১৯১৪-র ১৪ মার্চ। যেদিন তাঁরা এই দেশের মাটিতে পা দেন সেদিনই দেখা করেন শ্রীঅরবিন্দের সঙ্গে। অরবিন্দের সঙ্গে প্রথম দেখা মীরার মনে আলোড়ন তোলে। মুগ্ধ হন তিনি। তাঁর মনে হয় এই সেই মানুষ যাঁকে তিনি খুঁজে চলেছেন এতদিন। যাঁকে তিনি স্বপ্নে দেখেছেন বারবার। ইনিই সেই ‘ঈশ্বর পুরুষ’ যাঁকে তিনি কৃষ্ণ বলে মনে করতেন। প্রথম দেখায় মীরা অনুভব করেন এই দেশটাই তাঁর কর্মক্ষেত্র। নিজের মধ্যে অদ্ভুত এক পরিবর্তন উপলব্ধি করেন।
পরবর্তীতে শ্রীমা তাঁর সেই উপলব্ধি লেখায় ব্যক্ত করেছিলেন।
তারপর থেকে মীরা এবং পল দু’জনে প্রায়শই অরবিন্দের কাছে যেতেন। ওই সময় অরবিন্দের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের। পল আর মীরা স্থির করেন ‘আর্য’ নামে একটি ফিলজফিক্যাল জার্নাল প্রকাশ করবেন। অরবিন্দ এই বিষয় তাঁদের সহযোগিতা করেন। ১৯১৪ সালের ১৫ অগাস্ট অরবিন্দের জন্মদিনে ‘আর্য’র প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এবং শ্রীমার প্রথম উদ্যোগে শ্রীঅরবিন্দের অঢেল লেখা ‘আর্য’ পত্রিকায় ছেপে বের হয়। ওই পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হল ১৯১৪ সালের ১৫ অগাস্ট শ্রীঅরবিন্দের জন্মদিনে। পত্রিকার প্রচ্ছদপটে সম্পাদকমণ্ডলীর নাম ছিল– শ্রী অরবিন্দ ঘোষ, পল রিচার্ড ও মীরা রিচার্ড। আর এই মীরাই হলেন অরবিন্দের ভাবশিষ্যা, সহযোগী শ্রীমা।
ইতিমধ্যে দেশ থেকে ডাক আসে পলের। ইউরোপে শুরু হয়েছে মহাযুদ্ধ। তাঁকে ফ্রেঞ্চ রিজার্ভ আর্মিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মীরার একদমই ইচ্ছে ছিল না ভারতবর্ষ ছেড়ে যাওয়ার। কিন্তু তাঁকে থাকতে বললেন না। আসলে তিনি জানতেন তখন সময় আসেনি মীরার। অগত্যা স্বামীর সঙ্গে ফিরে গেলেন মীরা। পণ্ডিচেরি ছেড়ে যাওয়াটা মীরার মনে গভীর আঘাত দিয়েছিল। এর জন্য তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার যন্ত্রণা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “He (Sri Aurobindo) did not keep me, what could I do? I had to go. But I left my psychic being with him, and in France I was once on the point of death: the doctors had given me Up.”

আরও পড়ুন-রোহিত-জাদেজার ব্যাটে চাপ কাটল, অভিষেক টেস্টেই বাজবল সরফরাজের

যাই হোক, এরপর পল ফ্রান্সে এক বছর থাকার পর সেনাবাহিনী ছেড়ে মীরাকে নিয়ে জাপানে চলে যান। ১৯১৯ সালে জাপানে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল। মীরা আক্রান্ত হলেন। বাঁচবার আশা প্রায় ছিল না। একটি চিঠি লিখে তখন তিনি শ্রীঅরবিন্দকে সেই কথা জানালেন। কিন্তু সেই চিঠি শ্রীঅরবিন্দ পর্যন্ত পৌঁছয়নি। অথচ ধীরে ধীরে মীরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। শ্রীমার বিশ্বাস ছিল শ্রীঅরবিন্দের যোগশক্তির ক্রিয়াতেই তিনি নিরাময় হয়েছেন। একথা তিনি নিজেই বলেছিলেন।
এরপর ১৯২০ সালের ২৪ এপ্রিল শ্রীমা এবং পল রিচার্ড ফিরলেন পণ্ডিচেরিতে। তখন মিস ডরোথি হডসন নামে এক ব্রিটিশ মহিলাও তাঁদের সঙ্গে এসছিলেন। এবার শ্রীমা রয়ে গেলেন ভারতে। পল ফিরে গেলেন একাই।
জাপানে থাকার সময় একটা খুব সুন্দর ঘটনা ঘটেছিল। ১৯১৯-এ তাঁর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখা হয়। কিয়োটো শহরে তাঁরা কিছুদিন একই হোটেলে ছিলেন। সেই সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীমাকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, ‘‘আপনি শান্তিনিকেতনে আসুন। আর তার সব ভার নিয়ে সেটিকে সঠিক ধারায় গড়ে তুলুন।’’
শ্রীমা তাঁর প্রস্তাবে রাজি হতে পারেননি। তিনি বুঝিয়ে বলেন, ‘‘আমি ভারতে যাব তবে আমার কাজ অন্যত্র।’’ একথা শুনে কবিগুরু হতাশ হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এর পিছনে গভীর আধ্যাত্মিক তৎপর্য রয়েছে। তাই আর পীড়াপীড়ি করেননি। তবে জাপান থেকে চলে আসার সময় তাঁকে নিজের টাইপরাইটারটি শ্রদ্ধার সঙ্গে শ্রীমাকে উপহার দিয়ে যান। পণ্ডিচেরিতে এখনও সেটি সযত্নে রাখা আছে। কবিগুরু শ্রীমার জন্য আরও একটি কাজ করেছিলেন। শ্রীমা কিছুতেই ভারতে আসার ভিসা পাচ্ছিলেন না কিন্তু কবির অনুরোধে সেটা সম্ভবপর হয়।

আরও পড়ুন-সন্দেশখালিতে আরএসএস-এর বাসা, শাহজাহানকে ‘টার্গেট’, বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

শৈশবেই আধ্যাত্মিকতার বিকাশ
শ্রীমা, যার পুরো নাম ব্লঁশ রাচেল মীরা আলফাসা। যে মহামানবীর জন্ম প্যারিসে। বাবা মরিস আলফাসা মা মাথিলদে ইসমালুন। ছোটবেলা থেকেই মীরা ছিলেন আলাদা। চার বছর বয়স থেকেই ধ্যান করতেন। তখন থেকেই তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিকতার বিকাশ হতে শুরু করে। ধ্যানে বসলেই নিজের মধ্যে একাত্ম হয়ে যেতেন। তিনি বুঝতে পারতেন তাঁর মনের মধ্যে আলাদা কিছু ঘটে চলেছে। এই নিয়ে শ্রীমা ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘‘চার বছর বয়স থেকে আমি যোগা বা ধ্যান করতে শুরু করেছিলাম। আমার জন্য একটা ছোট্ট চেয়ার ছিল। আমি তার ওপর চুপ করে বসতাম আর ধ্যানে মগ্ন হয়ে যেতাম। একটা উজ্জ্বল আলো আমার মাথার ওপর নেমে আসত এবং আমার মাথায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্ট করত। আমি কিছু বুঝতে পারতাম না। কেননা বয়সটা বোঝার মতো ছিল না। তবে ধীরে ধীরে আমি অনুভব করতে পারি আমি হয়তো এমন কোনও মহান কাজ করার জন্য এসেছি যার কথা কেউ জানে না।’’
১৩ বছর বয়স থেকেই এক কৃষ্ণকায় পুরুষের স্বপ্ন দেখতেন। যাঁকে মনে মনে তিনি কৃষ্ণ বলতেন। ছোট থেকেই জগতের দুর্দশা, মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা বুঝতে পারতেন। অরবিন্দের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বুঝেছিলেন ছোটবেলায় স্বপ্নে তাঁকেই দেখতেন। প্রথম স্বামী হেনরি মারসেটের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলে পরবর্তীতে বিয়ে করেন পল রিচার্ডকে। যিনি শ্রীমার মতোই আধ্যাত্মিকতা জীবনের প্রতি আগ্রহী ছিলেন।

আরও পড়ুন-১০০দিনের কাজের টাকা আরও বেশি মানুষকে, আবাস যোজনা নিয়েও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

জননী
ভারতে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করার পর আরও বেশি করে অরবিন্দের সংস্পর্শে আসেন মীরা এবং আরও বেশি করে সাধনায় ডুবে যান। ১৯২৬-এ মীরা পণ্ডিচেরি আশ্রম স্থাপন করেন। এই সময় অরবিন্দ তাঁকে আদিশক্তির অবতার বলে ঘোষণা করলেন। এদিকে অরবিন্দ একটু একটু করে বাইরের জগৎ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিচ্ছিলেন নিজের সাধনায় আরও বেশি করে ডুবে যাওয়ার জন্য। আশ্রম প্রতিষ্ঠার পর অরবিন্দ মীরার হাতে আশ্রমের সমস্ত দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিজেকে পুরোপুরি বাইরের জগৎ থেকে সরিয়ে নেন। এই সময় থেকে অরবিন্দ মীরাকে ‘শ্রীমা’ নামে ডাকতে শুরু করেন। এইভাবেই মীরা হয়ে উঠলেন সকলের মা, শ্রীমা।
১৯৫০ সালের ডিসেম্বরে শ্রী অরবিন্দ মারা যান। তিনি মারা গেলে আশ্রমের সব ভার শ্রীমা নিজের কাঁধে তুলে নেন। ১৯৪৩ সাল থেকে ছোটদের জন্য আশ্রমের মধ্যে ছোট আকারে একটি স্কুল শুরু হয়। শ্রীমা নিজে ক্লাস নিতেন ছোটদের। এরপর ১৯৫২ সালের ৬ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করলেন শ্রীঅরবিন্দ ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটি সেন্টার। ১৯৫৯-এ এর নাম বদলে রাখা হয় শ্রীঅরবিন্দ ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টার অব এডুকেশন। এরকম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবনা ছিল অরবিন্দের।
অরোভিলের জননী
শ্রীমায়ের জীবনের অন্যতম কীর্তি হল অরোভিল স্থাপন। শ্রীমা ঠিক করেছিলেন পরীক্ষামূলকভাবে একটি শহর স্থাপন করবেন। অরোভিল, যার অর্থ ‘ভোরের শহর’। তামিলনাড়ুর ভিল্লুপুরম জেলায় অবস্থিত ছোট্ট সুন্দর শহর অরোভিল। যার কিছুটা অংশ রয়েছে পণ্ডিচেরিতেও। যে পণ্ডিচেরি শহরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দু’জন বিখ্যাত মানুষের নাম, ঋষি অরবিন্দ এবং তাঁর শিষ্যা ও সহযোগী শ্রীমা। কেন তিনি এমন এক শহর স্থাপন করেছিলেন তারও একটা গল্প রয়েছে। ১৯৬৫ সালের ২৬ জানুয়ারি যখন হিন্দি রাষ্ট্রীয় ভাষা করার সিদ্ধান্ত নিল দেশের সরকার, স্বাভাবিক ভাবেই অ-হিন্দিভাষী রাজ্য মেনে নিতে পারল না। শুরু হল বিক্ষোভ। আন্দোলনের নামে অনেকেই লুটপাট শুরু করে। আশ্রমগুলিতেও তারা আক্রমণ চালায়। সেই দাঙ্গার হাত থেকে রক্ষা পায় না মায়ের আশ্রমও। এই ব্যাপারটা শ্রীমা-র মনকে নাড়া দেয়। অনেকদিন মনের মধ্যে লালিত করা একটি স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার ভাবনা জেগে ওঠে মনে। তিনি চান এমন একটি জায়গা তৈরি করতে যেখানে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের মানুষ সত্যের সাধনায়, প্রগতিশীল জীবন কাটাতে পারবে। সেখান থেকেই শহর তৈরির পরিকল্পনা। সেই শহরই হল অরোভিল।
মানুষের মধ্যে একতা ও একাত্মতা গড়ে তোলাই ছিল এই শহর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য।
অরোভিলে কারা থাকতে পারবে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্রীমা বলেন, “Auroville belongs to nobody in particular. Auroville belongs to humanity as a whole. But to live in Auroville one must be the willing servitor of the divine Consciousness.”

আরও পড়ুন-তেলের বিল বকেয়া ১৯ কোটি টাকা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আজ উত্তরে প্রতিবাদ

পনেরো বর্গকিলোমিটার জুড়ে এই শহর। শহরের চারটি বিভাগ-– আবাসিক, শিল্প, সংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক।
শহরের ঠিক মাঝখানে রয়েছে মাতৃমন্দির। ১৯৭১ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শ্রীমা। এটি দেখতে একটি সোনালি গোলকের মতো। চারটি স্তম্ভের ওপর এই গোলকটি রয়েছে। এই চারটি স্তম্ভকে মায়ের চারটি শক্তির রূপক হিসেবে ধরা হয়। যে শক্তির কথা ঋষি অরবিন্দ উল্লেখ করেছিলেন তাঁর বইতে। সেগুলি হল জ্ঞান, শক্তি, সম্প্রীতি ও পরিপূর্ণতা। শ্রীমায়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সর্বজনীন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দেশ নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে ঐক্য স্থাপন করা। তাঁর ভাষায়, ‘‘যেখানে ধর্ম-বর্ণ, রাজনীতি ও জাতীয়তা নির্বিশেষে সব দেশের নারী-পুরুষ শান্তি ও প্রগতির সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।’’
৭৩-এর মার্চে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রীমা। ওই বছরের ১৭ নভেম্বর মারা যান তিনি। আশ্রম ভবনের সামনের চত্বরে অরবিন্দের সমাধির পাশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।

Latest article