প্রতিবেদন : আর দু’দিন পরেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আপাতত দেশের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন রনিল বিক্রমাসিংঘে (Sri Lanka PM Ranil Wickremesinghe)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রনিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করছেন।
এরই মধ্যে পার্লামেন্টের বেশ কয়েকজন সদস্যকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শাসক ও বিরোধী দুই দলের সদস্যদেরই খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূলত শাসক ও বিরোধীদলের সেই সব সদস্যকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যাঁদের রনিলের প্রতি সামান্য দুর্বলতা রয়েছে। বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদে রনিলকে ভোট দিলে পরিণতি ভাল হবে না। সাংসদরা প্রায় সকলেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সাংসদদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: আত্মঘাতী ছাত্রী
প্রেসিডেন্ট রনিল (Sri Lanka PM Ranil Wickremesinghe) খবরটি জানার পর পুলিশকে অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যারা এ ধরনের হুমকি দিচ্ছে তারা কেউ পার পাবে না। পার্লামেন্টের সদস্যদের ফোনে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে হুমকি-পোস্ট। পোস্টের মূল বক্তব্য হল, রনিলকে ভোট দিলে তার পরিণতি ভাল হবে না। কে বা কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টগুলি করেছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
শ্রীলঙ্কার চলতি পরিস্থিতিতে ভারত কী ভূমিকা নেবে তা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছে কেন্দ্র। ওই বৈঠকে থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে এবং বিরোধী দল এআইএডিএমকে কেন্দ্রকে দ্বীপরাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। দক্ষিণের দলগুলির দাবি, শ্রীলঙ্কার এই সংকটে ভারতের হস্তক্ষেপ করা উচিত। কারণ সেখানকার তামিল জনগোষ্ঠী যথেষ্টই দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: অনলাইন ডেটিং
এদিকে, শ্রীলঙ্কায় ফের জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। সোমবার সকাল থেকেই জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে। প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে জারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং মানুষের জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জরুরি অবস্থা জারি করা হল।