প্রতিবেদন : সাংসদ-বিধায়কদের স্বচ্ছতার প্রশ্নে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রায় শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সাংসদ কিংবা বিধায়কের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে কোনও রক্ষাকবচ পাবেন না তিনি। যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে। লক্ষণীয়, ১৯৯৮ তে সংসদে ভোট দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়ার মামলায় সাংসদ এবং বিধায়কদের রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সোমবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল ৭ সদস্যের বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-ফের ‘দিল্লি চলো’র ডাক অন্নদাতাদের, ১০ মার্চ রেল রোকো
১৯৯৩-এ পিভি নরসিমা রাওয়ের কংগ্রেস সরকারকে বাঁচাতে ভোট কেনা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অর্থের বিনিময় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ নরসিংহ রাও সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত এক মামলাতেই ১৯৯৮ সালের শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, অর্থের বিনিময় ভোট বা সংসদে ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও ওই সংসদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। তিনি রক্ষাকবচ পাবেন। সোমবার শীর্ষ আদালতের ৭ বিচারপতির বেঞ্চ সেই রায়কেই খারিজ করে দিল। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, আইনপ্রণেতাদের দুর্নীতি এবং ঘুষ ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রকে ভেঙে দিচ্ছে।