চেন্নাই, ২৪ মে : আইপিএলে দেরিতে জাগার অভ্যেস আছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। তবে একবার জাগলে তাদের থামানো কঠিন! ব্যাপারটা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত সত্য।
চিপকে লখনউ সুপার জায়ান্টস এই মুম্বইয়ের সামনে দাড়াতেই পারল না। ৮১ রানে হেরে গেল আইপিএল এলিমিনেটরে। মুম্বই কাল আমেদাবাদে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে খেলবে। যারা জিতবে সোজা চলে যাবে ফাইনালে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হতে।
আরও পড়ুন-২০ দলের বয়কট, বিরোধীরা নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে নেই
দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে দীপক হুদার (১৫) সঙ্গে স্টয়নিসের ধাক্কাটাই লখনউয়ের আশায় জল ঢেলে দিল। এমন নয় যে তার আগে খুব ভাল জায়গায় ছিল। ততক্ষনে পাঁচ উইকেট চলে গিয়েছে। তবু আশা ছিল স্টয়নিসকে ঘিরে। কিন্তু স্টয়নিসের রান আউট সব আশা শেষ করে দিল। দুই ব্যাটসম্যান এক লাইনে চলে এসেছিলেন। এটা ক্রিকেটের বেসিক ভুল। এরপর গৌতম আর হুদাও রান আউট হয়ে গেলেন পরপর !
একটা সময় ৬৯/২ ছিল লখনউয়ের। সেখান থেকে স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের পর তারা ৯২/৭ হয়ে গেল চোখের নিমেষে। মুম্বইয়েরও এরকম হয়েছিল। কিন্তু তারা সামলে নিয়েছিল। যেটা লখনউ পারেনি। আকাশ মাধওয়াল প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লখনউকে কার্যত আইপিএলের বাইরে করে দেন। তাঁর এই দৌড় অব্যহত থাকল দ্বিতীয় স্পেলেও। তুলে নিলেন বিষ্ণইকে (৩)। শেষে যশ ঠাকুরকেও। অতঃপর মাধওয়ালের বোলিং গড় ৩.৩-০-৫-৫। আইপিএলে ৫ রানে ৫ উইকেট ছিল কুম্বলের। এটাই সেরা ফিগার।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তার আগে একটা সময় তিন ওভারে ১৫ রান তুলে চাপে পড়ে গিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টিম ডেভিড (১৩) আর তিলক ভার্মা (২৬) ব্যাট করছেন। নবীন, বিষ্ণই, মহসিনরা মিলে এই একটা সময় বেশ চাপে রেখেছিলেন রোহিতের দলকে। যে চাপটা ইনিংসের শেষপর্যন্ত থাকল। ফলে ২০ ওভারে ১৮২/৮-এর বেশি যেতে পারেনি মুম্বই। পরে দেখা গেল জয়ের রান বহু আগেই তোলা হয়ে গিয়েছে!
চাপ পরে কেন, মুম্বই ইনিংসে প্রথম থেকেই ছিল। ৩৮ রানের মধ্যে রোহিত (১১) ও ঈশান (১৫) ফিরে গিয়েছিলেন। নবীন আর যশ পরপর দুটো ধাক্কায় প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দেন পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের। মুম্বই এই চাপ কেটে আর বেরোতে পারেনি। নবীন উল হক ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গেলেন। ৩৪ রানে ৩ উইকেট যশ ঠাকুরের।
আরও পড়ুন-হাতছানি দেয় পাঞ্জাবের প্যারিস
এই চিপকে আগেরদিন চেন্নাই সুপার কিংস প্রথমে ব্যাট করেছিল। এই ম্যাচে মুম্বইও সেটাই করল। টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিলেন রোহিত শর্মা। আগের দিন প্রথমে ব্যাট করে ধোনি বলেছিলেন, গুজরাট ভাল রান চেজ করে। আমি টস জিতলেও আগে ব্যাটিং নিতাম। রোহিত বোধহয় ধোনির কথা শুনেই আগে ব্যাট করে নিলেন।
কিন্তু মুশকিল হচ্ছে তাঁদের ইনিংসে একটাও বড় পার্টনারশিপ হয়নি। ৩৩ রান করে সূর্য যখন ফিরে গেলেন, বোর্ডে রান ১০৪। ক্যামেরুন গ্রিনের (৪৬) উপর প্রচুর প্রত্যাশা ছিল। আগের ম্যাচে তিনি সেঞ্চুরি করে মুম্বইকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের ইনিংসকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি দীর্ঘকায় অস্ট্রেলীয়।তবু তিলক ও সুপার সাব নেহাল ওয়াধেরারার (২৩) জন্য মুম্বইয়ের রান বাড়ল। শেষ ওভারে যশের বলে ১৪ রান তোলেন ওয়াধেরা। জেতার তাগিদ তখনই স্পষ্ট।