প্রতিবেদন : গুজরাতের ভয়াবহ সেতু দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিল নবান্ন (Nabanna- Bridge)। রবিবার গুজরাটের মোরবি জেলায় ভয়াবহ সেতু বিপর্যয়ে এপর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আবহে এবার এরাজ্যের ঝুলন্ত সেতুগুলির কী অবস্থা তা জানতে চেয়ে তড়িঘড়ি রিপোর্ট চাইল নবান্ন। মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং-সহ কয়েকটি জেলায় গুজরাতের দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেতুর (Nabanna- Bridge) মতো ঝুলন্ত সেতু রয়েছে। সেগুলি নিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলার পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের। একই সঙ্গে রাজ্যে যেসব উড়ালপুল রয়েছে সেগুলির বর্তমান অবস্থা নিয়েও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় (Pulak Roy)। সেখানে ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন সেতুর অবস্থা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মঙ্গলবার পূর্ত দফতরের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়-সহ নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকদের। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন জেলার ইঞ্জিনিয়াররা। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ গুজরাতের মাচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু আচমকা ভেঙে পড়ে। সেতু ভেঙে পড়ার সময় সেটির উপর প্রায় ৪০০ মানুষ ছিলেন। ১৪১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। জখম হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ওই সেতু গত অগাস্ট মাসে মেরামত করা হয়েছিল। এরপর প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে আবার খুলে দেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষের জন্য। আর সেখানেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন-বিজেপি, সিপিএম ছেড়ে আইএনটিটিইউসিতে