সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মরশুম। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তিনটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন মৎস্যজীবীদের জীবন রক্ষায় বৃহস্পতিবার দুপুরে কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের অফিসে একটি বিশেষ বৈঠক ডাকে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ উমাপদ পুরকাইত, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্ট গার্ডের সিইও এন পি সিং, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, জেলার সহ-মৎস্য অধিকর্তা জয়ন্ত প্রধান ও একাধিক মৎস্যজীবী ইউনিয়নের নেতৃত্ব। বৈঠকে মাছ ধরার সুবিধা, অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন-স্কুলে মিড-ডে মিলের মান দেখলেন বিডিও
এই আলোচনার পর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বারবার কেন মাঝসমুদ্রে ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটছে তা রুখতে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা রুখতে আগামীদিনে ট্রলারের মাঝি ও চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ছোট ইলিশ না ধরার জন্য মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য সরকারি নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট মাপের জালের ফাঁস ব্যবহার করতে হবে। মৎস্যজীবীদের সুরক্ষায় প্রতিটি ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট, বয়া রাখতে হবে। দু’মাসের নিষেধাজ্ঞার সময় কোনওভাবে নদী বা সমুদ্রে মাছ ধরা যাবে না। বাংলাদেশ জল সীমানায় আটক ৮টি ভারতীয় ট্রলার ও গ্রেফতার ১৩৫ জন মৎস্যজীবী প্রসঙ্গে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে মৎস্যদফতরকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র দফতরের নজরে আনা হবে বিষয়টি।