প্রতিবেদন: করোনাকালে সবমিলিয়ে প্রায় ১৪ মাস বন্ধ ছিল নিয়মিত রেল পরিষেবা। এর জন্য আর্থিক ভাবে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে রেলের। এই আর্থিক ক্ষতির অজুহাতে এখনও পর্যন্ত কোনও কনসেশন চালু করতে পারেনি রেল। পাশপাশি করোনাকালে সংক্রমণ রুখতে ট্রেনের প্রথম শ্রেণিতে বালিশ, তোয়ালে, চাদর, কম্বল দেওয়ার ব্যাবস্থা সাময়িক ভাবে বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত কয়েকমাসে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা। এই সময়ই প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের শয্যার জন্য কয়েক কোটি টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। সুত্রের খবর, শুধুমাত্র পূর্ব রেলেই চাদর, কম্বল, বালিশ, বালিশের কভার আর তোয়ালে কিনতেই খরচ হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-অমিত শাহের মঞ্চ থেকে বঙ্গভঙ্গের দাবি বিজেপির
রেলের যুক্তি, প্রথম শ্রেণির এসি কামরার যাত্রীদের জন্যে এই সব সামগ্রী দেওয়া বাধ্যতামূলক। তাই কোটি টাকা খরচ হলেও কিনতে হচ্ছে চাদর-বালিশ-কম্বল থেকে তোয়ালে। পূর্ব রেলের লক্ষ্য, আগামী মাসের ৯ তারিখের মধ্যে তাদের সব দূরপাল্লার ট্রেনেই চাদর-বালিশ-কম্বল দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। এর জন্য প্রায় দেড় লাখের কিছু কম চাদর কেনা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির জন্যে খাদির চাদর কেনা হয়েছে ৫৫,৯৯২টি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির এসি কামরার জন্য সাধারণ চাদর কেনা হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজারটি। চাদরের পাশাপাশি বালিশ কেনা হয়েছে প্রায় সাঁইত্রিশ হাজার। বালিশের কভারও কেনা হয়েছে। প্রায় চৌত্রিশ হাজার কম্বল কেনা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এ-ছাড়াও হাজার তিনেক তোয়ালে কেনা হয়েছে। এই সব কিনতে প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। রেলের দাবি, অতিমারির সময়ে বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা।
আরও পড়ুন-সুন্দরবনের উন্নয়নে বিশ্বব্যাঙ্ক
পরে স্পেশ্যাল ট্রেন চালু হলেও, দূরপাল্লার ট্রেনে দেওয়া হচ্ছিল না চাদর-কম্বল-বালিশ। রেল বোর্ডের অর্ডারে তা ফের দেওয়া চালু হলেও বদলে ফেলতে হয় সব পুরানো সামগ্রী। ফলে কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও কয়েক কোটি টাকা খরচ করল রেল। তবে এবার থেকে রাতের ট্রেন সফরে মিলবে কম্বল, বালিশ, চাদর এবং তোয়ালে। কিছুদিন আগেই জারি করা নোটিফিকেশন এ-কথা জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। পূর্ব রেলের তরফে জানান হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব রেলের সব বিভাগের ট্রেনেই চাদর-বালিশ-কম্বল-তোয়ালে দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।