সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীতে বিচারের নামে প্রহসন চলছে। আর তা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক থেকে কর্মী। আদালতের কোপ থেকে বাঁচতে কম্পিউটার বিভাগের কর্মী বিদ্যুৎ সরকারকে ৪ মে সকালে কাজে যোগ দিতে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সন্ধ্যাতেই ফের সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতীর ক্যাঙারু কোর্ট। প্রথম চার্জশিটের তদন্তে বিদ্যুৎ নির্দোষ প্রমাণিত। জানতে পেরে দ্বিতীয় চার্জশিট দিয়ে রেখেছিল উপাচার্যের নেতৃত্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতেই বিদ্যুৎকে সাসপেন্ড করল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-রোগীদের রেফার বন্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতাল
মজার ব্যাপার, একই বিষয়েই দ্বিতীয় চার্জশিট। বিদ্যুতের অপরাধ, তিনি কর্মিসভার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বছর দুই আগে সপ্তম পে কমিশনের জন্য অন্যান্য সহকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। পরের বছর ৭ জুলাই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কর্মিসভার অফিস সিল করে কর্মিসভাকেই তুলে দেন। প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি বিদ্যুৎ সরকারের কোনও দোষ খুঁজে পাননি। পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মানস মাইতিকেও সাসপেনশনের নোটিশ ধরানো হয়। যদিও আদালতের নির্দেশ ছিল, ৩০ নভেম্বর ২০২১ অথবা পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত (যেটা আগে হবে) কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কয়েকজন প্রাক্তন উপাচার্য জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেকশন এখন খুবই দুর্বল। ফলে পরের পর মামলায় অর্থশ্রাদ্ধ হচ্ছে। তেমনি ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানের মানহানি হচ্ছে। সর্বোপরি অ্যাকাডেমিক দিকটা সব থেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।