প্রতিবেদন : দেশের নিদারুণ আর্থিক সঙ্কট সামাল দিতে না পেরে পদত্যাগ করেছিল শ্রীলঙ্কার পুরো মন্ত্রিসভা। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে নিজের পদে থেকে গিয়েছিলেন। গোটা দেশের মানুষ প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দ্বীপরাষ্ট্রে গঠিত হল নতুন মন্ত্রিসভা। এই মন্ত্রিসভার চমক বলতে একটাই সেটা হল, রাজাপক্ষে পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কোনও সদস্যকেই না রাখা। নতুন মন্ত্রিসভায় ১৭ জন সদস্যকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন-একদিনেই আক্রান্ত বাড়ল ৯০ শতাংশ! ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪ থেকে ২১৪
নতুন মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু তরুণ মুখকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলির দাবি, দেশের তরুণ ও অনভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মন্ত্রিসভায় এনে কোনও কাজ হবে না। কারণ চলতি আর্থিক সঙ্কট সামাল দেবার মতো অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। এ ধরনের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে দেশের পুনরুজ্জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ক্ষমতা তরুণ সাংসদদের নেই। নতুন মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া বলেছেন, মন্ত্রিত্ব মানে শুধু সুযোগ-সুবিধা নেওয়া, বিলাসবহুল জীবনযাপন করা নয়। মন্ত্রীদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে।
আশা করি নতুন মন্ত্রীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। দেশের অধিকাংশ সংস্থাই তীব্র আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। এই সঙ্কট থেকে বাঁচতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দেশে রাজাপক্ষে পরিবারের প্রতি মানুষের অসন্তোষ ক্রমশই বাড়ছিল। সে কারণেই নতুন মন্ত্রিসভায় রাজাপক্ষে পরিবার থেকে মাহিন্দা ছাড়া কোনও সদস্যকে ঠাঁই দেওয়া হয়নি।