প্রতিবেদন : পুজোর জন্য দেওয়া দশ দিনের ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাত থেকেই ফের নৈশ বিধি- নিষেধ কার্যকর হল রাজ্যে। অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে দিনের বেলায় অধিকাংশ কার্যকলাপে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের প্রকোপ রুখতে রাতে অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি রুখতে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে কঠোরভাবে নৈশ বিধিনিষেধ লাগু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মী পুজোয় মাতল লাল মাটির দেশ , বিস্ফোরণ ব্যরাকপুরে
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অক্টোবর মাসের বাকি দিনগুলিতেও রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে। দীপাবলির আগে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের যাতে লাগামছাড়া না হয়, সেইজন্যই এই উদ্যোগ বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। সেইমতো বুধবার রাত থেকেই কঠোর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুজোর আগে থেকেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে একটা আশঙ্কা ছিল। পুজো মিটতেই সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে সংক্রমণ বাড়লেও পরিস্থিতি এখনও নাগালের মধ্যেই রয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ যেন তৃতীয় ঢেউয়ের আকার না নেয়, তার জন্য মঙ্গলবারই প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকেই তিনি শহরতলি থেকে প্রান্তিক এলাকায় টিকাকরণ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানোর কথা বলেন। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করে এই সময় তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করতে বলেন। পাশাপাশি জেলায় জেলায় নৈশকালীন বিধিনিষেধ যাতে সাধারণ মানুষ মেনে চলেন, সেদিকেও নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন।