প্রতিবেদন : মঙ্গলবার জোটসঙ্গী বদলের পর বুধবার বিহারের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন করে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তারপরেই জেডিইউ নেতার মুখে শোনা গেল মোদি সরকারকে হঠানোর ডাক। মহারাষ্ট্র-কাণ্ডের পর বিহারে বিজেপির রামধাক্কায় উজ্জীবিত বিরোধী শিবির। গত কয়েক মাস ধরেই বিহারে সরকারের পালাবদলের সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা চলছিল। একাধিক ইস্যুতে জেডিইউ এবং বিজেপির দূরত্বের ছবি স্পষ্ট হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে বিজেপি উদ্ধব সরকারকে ফেলে দেওয়ার পর ঝুঁকি নিতে চাননি নীতীশ। তলায় তলায় তাঁর দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টার ইঙ্গিত পেয়েই দ্রুত নয়া মহাজোট পাকা করে ফেলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অগ্নিপুরুষ হেমচন্দ্র কানুনগো ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরোধী ছিলেন
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) আঁটঘাট বেঁধেই যোগাযোগ শুরু করেন আরজেডির সঙ্গে। অগ্নিপথ প্রকল্প, জাতিভিত্তিক জনগণনা-সহ একাধিক বিষয়ে আরজেডি ও নীতীশ কুমারের সুর ছিল কার্যত একই। পাশাপাশি পরিকল্পনা মাফিক বিজেপির সঙ্গে প্রকাশ্যে দূরত্ব বাড়ানোর কাজ করে চলেছিলেন। গত এপ্রিলে তেজস্বীর বাড়িতে ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন নীতীশ। অথচ আমন্ত্রিত হয়েও রাষ্ট্রপতি দৌপ্রদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। বয়কট করেছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠকও। নীতীশের এই চাল বুঝতে বেশ কিছুটা দেরি করে ফেলে বিজেপি। তার ফলেই পাঁচ বছর পর ফের বিহারে ক্ষমতায় ফিরল মহাজোট। অষ্টমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গেই এদিন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী। বুধবারের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে লালু ছাড়া তাঁর পরিবারের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই মুহূর্তে লালুপ্রসাদ জেলে। তাই শপথ নেওয়ার আগে নীতীশ লালুকে ফোন করেন। শপথ গ্রহণের পরই মোদিকে স্পষ্টতই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নীতীশ। বলেছেন, কেউ যদি মনে করে ২০১৪ সালে যারা কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছিল ২০২৪ সালে তারাই ভোটে জিতবে, তবে সেটা ভুল ভাবনা। বরং যদি বিরোধীরা একজোট হয় তবে বিজেপিকে হারানো কোনও বড় ব্যাপার নয়। তবে আমি কখনওই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার নই।