আটদিনের লড়াইয়ে জিতে বাড়ি ফিরলেন রেণু খাতুন। যদিও বাড়ি নয়, তাঁর ঠাঁই আপাতত বর্ধমান শহর লাগোয়া বর্ধমান-কাটোয়া রোডের ধারে বাজেপ্রতাপপুর মালিবাগানে। এখানে থাকেন সম্পর্কে দিদি পিয়ারি বিবি। ওঁর কাছেই সপ্তাহখানেক থাকবেন। ফিজিওথেরাপি চলবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের বছর চব্বিশের বধূ রেণুর বার্তা, ‘‘নির্যাতন হলে যেন কোনও মেয়ে চুপ না থাকে। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে।’’ তবে রেণু শ্বশুরবাড়ি আর ফিরতে চান না। বললেন, ‘‘যে স্বামী হাত কেটে নিয়েছিল, তার কাছে যাব না। ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে এখনই কিছুই ভাবতে চাইছি না। কিছুদিন বিশ্রাম নেব। তারপর চাকরিতে যোগ দেব।’’ স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগপত্র আগেই পেয়ে গিয়েছেন। তাঁর চাকরিস্থল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই। ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।’’ বললেন কৃতজ্ঞ রেণু। আরও কৃতজ্ঞ, সরকার চিকিৎসার সব খরচ বহন করায়। দুর্গাপুরের ডাক্তারদের প্রতিও কৃতজ্ঞ তিনি। বললেন, ‘‘ডাক্তার-নার্সরা আটদিন সবসময় পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন, তার জন্যই আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছি।’’ রেণুর কৃত্রিম কব্জি লাগানো হবে। তবে এখনই নয়। অস্ত্রোপচারের ক্ষত পুরোপুরি শুকোতে মাসতিনেক লাগবে, তারপর। রেণু এর মধ্যেই বাঁ হাতে লেখা অনেকটাই সড়গড় করে ফেলেছেন। বললেন, ‘‘বাড়িতে যে ক’দিন বিশ্রামে থাকব, বাঁ হাতে লেখাটা আরও ভালভাবে রপ্ত করে নেব।“
আরও পড়ুন- ভিজিটর পদে শিক্ষামন্ত্রী, বিধানসভায় বিল পাশ