আজ বৃহস্পতিবার মালদা (Malda) এবং মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক সভায় বেশ কিছু ইস্যুতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি বাংলায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা নিয়ে মুখ খোলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘২০-২৫ জনের একটা মিটিং হয়েছিল। তারা দিল্লি থেকে এসেছিল। তারা বলেছে যে জাতিগত দাঙ্গা লাগাও। শুধু হিন্দু-মুসলমান নয়, বলছে যে রাজবংশী-বাঙালি (হিংসা) লাগাও, কুড়মি-আদিবসী (হিংসা) লাগাও, মতুয়াদের সঙ্গে অন্য কোনও সম্প্রদায়ের সঙ্গে (হিংসা) লাগাও।’ এদিন তিনি বৈঠক থেকে কালিয়াগঞ্জে গণ্ডগোলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার যে ভিডিয়ো নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। কালিয়াগঞ্জে পুলিশকে মারধোর নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-মালদহে ‘ম্যাঙ্গো সুইট’ তৈরির পথ দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন তিনি বলেন, ‘দিল্লি থেকে লোকজন এসে পশ্চিমবঙ্গে হিংসা ছড়াচ্ছেন। ২০-২৫ জন বৈঠকও করেছিলেন। বাইরে থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গে জাতিগত হিংসা, বিভিন্ন সম্প্রদয়ের মধ্যে হিংসা লাগানোর জন্য উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আর কয়েকটা মুসলিম ছেলেকে টাকাও দেওয়া হচ্ছে যে তোকে টাকাটা দেব, দাঙ্গাটা লাগিয়ে দিয়ে চলে যা। হয়ত সে করতেও চায় না। কিন্তু অনেক লোক টাকাটা পেতে চায়।’
আরও পড়ুন-‘তলায় তলায় সেটিং পরিষ্কার!’ মানিকচক থেকে বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
তিনি বলেন, ‘আর কয়েকটা মুসলিম ছেলেকে টাকাও দেওয়া হচ্ছে যে তোকে টাকাটা দেব, দাঙ্গাটা লাগিয়ে দিয়ে চলে যা। হয়ত সে করতেও চায় না। কিন্তু অনেক লোক টাকাটা পেতে চায়। এগুলো আমাদের নজরে আসছে। কাজে এটা নজরে রাখতে হবে। কোনও হিন্দু, কোনও মুসলমান, কোনও রাজবংশী, কোনও মতুয়া – কেউ কিন্তু দাঙ্গা চায় না। দাঙ্গা চায় কিছু বজ্জাত রাজনৈতিক নেতা। আর কিছু টিভি চ্যানেল চায়। তার কারণ সারাক্ষণ টিভিতে দাঙ্গাকে মদত দিয়ে দেখানো হয়। প্ররোচনা (দেওয়া হয়)। এখন তো সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। এরা প্ররোচিত করে।’