সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : এই প্রথম পুরুলিয়া জেলায় মকর সংক্রান্তির দিন কোথাও মেলা হচ্ছে না। এলাকার মানুষ নিজেরাই আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশে রয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। স্থগিত হয়ে যাওয়া মেলার মধ্যে রয়েছে— বেড়োর খেলাইচণ্ডী মেলা, তুলিনের সুবর্ণরেখা নদীতীরবর্তী মেলা, বান্দোয়ানের যমুনাবাঁধ মেলা। এছাড়া স্থগিত হয়েছে পূর্বভারতের সর্ববৃহৎ গবাদি পশুর কাশীপুর সাপ্তাহিক হাট।
আরও পড়ুন-কেন্দুলির মেলা হবে কোভিডবিধি মেনে
কোভিড সংক্রমণ রুখতে মানুষ এভাবে এগিয়ে আসায় খুশি প্রশাসন। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু বলেছেন, টুসু ভাসান উপলক্ষে মকরদিনে পুরুলিয়ায় যেখানে জল, সেখানেই মেলা। এর সঙ্গে রয়েছে মোরগ–লড়াই। মকরের টুসু ভাসানেও ভিড় হয়। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ যাতে ভিড় না করেন, সেজন্য গ্ৰামে গ্ৰামে গিয়ে অনুরোধ করেছিলাম আমরা। মানুষ নিজেরাই বৈঠক করে মেলা বন্ধ করে দিচ্ছেন। রঘুনাথপুরের তৃণমূল নেতা হাজারী বাউরী বলেন, বেড়ো গ্রামে শতাব্দীপ্রচীন খেলাইচণ্ডী মেলা বসে।
গ্রামে গিয়ে বলতেই মেলা কমিটি বসে মেলা স্থগিত করে দিয়েছে। বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব লোচন সরেন বলেন, যমুনাবাঁধের মেলাটি আসলে একদিনের মকর মেলা। এখানে ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রচুর লোক আসেন। এবার মেলা হচ্ছে না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, মানুষ যেভাবে সহযোগিতা করছেন, তাতে আমরা অভিভূত।