সাংসদদের ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে পারবেন না আপ্তসহায়ক-সহ অন্য কেউই

সঠিক ছিলেন মহুয়া, মুখ পুড়ল বিজেপির

Must read

প্রতিবেদন : ধরা পড়ে গেল বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতি। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে প্রতি পদে নিজেদেরই ঢোঁক গিলতে হচ্ছে বিজেপিকে। মহুয়া-ইস্যুতে নিজেদের পাপ ঢাকতে এবার অন্যরকম সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি, যাতে তাদেরই মুখ পুড়ল। আর এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়ে গেল মহুয়াই ঠিক বলেছিলেন। তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন তুলেছিলেন, সংসদের তরফে কোথাও এমন কোনও নিয়ম নেই যে, সাংসদ (MPs- Parliament) তাঁর লগ ইন পাসওয়ার্ড কাউকে দিতে পারবেন না। অন্য কেউ তাঁর হয়ে প্রশ্ন জমা দেওয়া কিংবা অন্য কাজ করতে পারবে না। এই প্রশ্নগুলি তুলেই শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মহুয়া। তাঁর তোলা প্রশ্নগুলি যে সঠিক ছিল সংসদের নতুন সিদ্ধান্তেই তা প্রমাণিত হল। যদিও তা মৌখিক। কী সেই সিদ্ধান্ত? বুধবার শীর্ষস্তরের নির্দেশে সংসদের সচিবালয় জানাল, এবার থেকে কোনও সাংসদের আপ্তসহায়ক বা ‍‘অথরাইজড পার্সন’ সাংসদের হয়ে সংসদের সাইটে আপাতত লগ ইন করতে পারবেন না৷ আগামী শীতকালীন অধিবেশনের জন্য প্রশ্নপত্র এমনকী সাংসদের (MPs- Parliament) টিএ বিল বা সংসদীয় কোনও নোটিশও অনলাইনে সাবমিট করতে পারবেন না। লগ ইন করতে না পেরে বেশ কিছু সাংসদের আপ্তসহায়কেরা লোকসভার সচিবালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করেন এবং তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, মহুয়া মৈত্রর ঘটনার পরে সতর্ক সচিবালয়। আর এর থেকেই স্পষ্ট, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন লোকসভার সচিবালয়ের পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলি। যদিও এই মর্মে এখনও কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি৷
সংসদের সচিবালয় থেকে মৌখিকভাবে সাফ জানানো হয়েছে, মহুয়া বিতর্কের জেরেই সতর্ক সংসদের সচিবালয়, তাই তাঁদের ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কীভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা হবে সে-বিষয়ে সচিবালয়ের কাছে এখনও কোনও গাইডলাইন নেই। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠকে সমস্যার কীভাবে সমাধান হবে তা খুঁজে বের করা হবে।
উল্লেখ্য, সংসদীয় সচিবালয়ের সিদ্ধান্তের ফলে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে পারেন গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সংসদ সদস্যরা৷ এতদিন তাঁরা নিজেদের আপ্তসহায়ক বা অথরাইজড পার্সনদের মাধ্যমে সংসদের সাইটে প্রয়োজনীয় লগ ইন করতেন। বিভিন্ন নোটিশও জমা দিতে পারতেন৷ আপাতত এই পদ্ধতি রদ করা হয়েছে৷ এর ফলে আপাতত সাংসদদের হার্ড কপি বিল, নোটিশ জমা করতে হবে— যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের৷ এমনকী এতদিন ধরে চলে আসা পদ্ধতির হঠাৎ করে বদল হওয়ায় সংসদেরাও বুঝতে পারছেন না হাতে থাকা এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য কীভাবে তাঁরা প্রশ্ন সাবমিট করবেন।

আরও পড়ুন- পরীক্ষাকেন্দ্রে পোশাক ফতোয়া ঘিরে ফের বিতর্ক

Latest article