নির্বাচন কমিশনের (Election commission of India) এখন চিন্তার কারণ জামিন অযোগ্য মামলাই। আগামিকাল, রবিবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কমিশন সূত্রে খবর, কলকাতায় আসছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, ইসি, ডেপুটি ইসি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য সহ মোট ১৪ জন সদস্য। এরমধ্যে রাজীব কুমার ছাড়া বাকি টিম দুই ভাগে ৩ তারিখ দুপুর আড়াইটে থেকে চারটের সময় কলকাতায় আসবে বলে খবর। সেক্ষেত্রে তিন তারিখের বৈঠক রাজীব কুমারের অনুপস্থিতিতেই হতে পারে। তবে, ৪ মার্চের বৈঠকের সময়সূচি অপরিবর্তিত আছে বলেই সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এবং রাজ্য প্রশাসনকে। কারণ, ৭দিন আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার আগে যেন অতি অবশ্যই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাকে শূন্যতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক গত সপ্তাহের শুক্রবার রাজ্যের সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে উক্ত নির্দেশকে কার্যকর করতে বলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। যে মুহূর্তে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তখন সংখ্যাটা ছিল লক্ষাধিক যা এই মুহূর্তে ৪৬ হাজারের কাছাকাছি। কমিশন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এক্সিকিউটেড জামিন অযোগ্য মামলার সংখ্যা ৭৩ হাজার ৩৬৬।
আরও পড়ুন: স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবে সিআরপিএফ!
এদিকে শুক্রবারই রাজ্যে চলে এসেছে ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটারদের মধ্যে ভয় দূর করতে এবং সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার সংখ্যা কমানোর বিষয় নিয়ে রাজ্য পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিচ্ছে। যাতে ভোটাররা ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন এবং নিজেদের জনমত প্রদান করতে পারেন। এখন মূল বিষয়, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে থেকে এত পদক্ষেপ নিয়ে কতটা সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করাতে সক্ষম হয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।