প্রতিবেদন : শুধু মুখের কথা নয়, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে ফের উদাহরণ তৈরি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে সরকারি কর্মসূচির শেষে নেত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানান, শুনলাম ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে দাঁড়াচ্ছে। আমি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, ওর সঙ্গে আমার পরিবার সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করছে। আমি পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে। প্রত্যেকটা নির্বাচনের সময়ে যদি আমার পরিবারের সদস্যরা প্রার্থী হতে চায় এবং তা মানা হয়, তাহলে তো সেটা পরিবারতন্ত্র। আমি এই ঘটনার ঘোর বিরোধী। আমি মানুষতন্ত্রে বিশ্বাসী। গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আমার পরিবার, বাংলার মানুষ আমার পরিবার।
আরও পড়ুন-বাংলা-বিরোধীদের বিসর্জন, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের অধিকার-যাত্রা
বিজেপি পরিবারতন্ত্রের কথা বলে? আসলে ওরাই পরিবারতন্ত্রকে ধরে রেখেছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অনুরাগ ঠাকুর, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র পুত্র, রাজনাথ সিংয়ের পুত্র তো পরিবারতন্ত্রের উদাহরণ। তালিকা দীর্ঘ। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যদি দিল্লির আপ সরকারের ক্ষমতা ছাঁটাই করতে রাতারাতি আইন তৈরি করতে পারে, কিংবা ইডির অধিকর্তাকে পদে রাখতে অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসতে পারে, তাহলে সৎসাহস থাকলে পরিবারতন্ত্র রুখতেও আইন নিয়ে আসুক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন প্রথম, যিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিজেপির আসলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই, ওদের সবটাই জুমলা।