প্রতিবেদন: দেশের মধ্যে একমাত্র এ-রাজ্যেই সবচেয়ে সুষ্ঠু ভাবে মিড-ডে মিল প্রকল্প চলছে। স্কুলে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে পড়ুয়ারা। এডিবি-র তরফে এই স্বীকৃতি মিললেও এই নিয়ে ভিত্তিহীন সমালোচনা এবং অভিযোগ করছেন এ রাজ্যেরই কিছু বিজেপি নেতা। সোমবার কড়া ভাষায় তাঁরই জবাব দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, এখানে কথা না বলে, দিল্লিতে গিয়ে বলুন। রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে আরও একটু পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি তোলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন-১৫ জুন থেকে তিনমাস বন্ধ ডুয়ার্সের বনাঞ্চল
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী নেতা অভিযোগ করেছিলেন মিড-ডে মিলের টাকার কোনও হিসেব নেই। এরপরই এদিন তাঁকে নিশানা করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, এ রাজ্যে সবচেয়ে সুষ্ঠুভাবে এই প্রকল্প চলছে, এডিবিও একথা স্বীকার করেছে। কিন্তু কিছু বিজেপি নেতা তা বুঝতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, প্রাইমারিতে জনপ্রতি প্রতিদিন কেন্দ্রের বরাদ্দ মাত্র সাড়ে চার টাকা। আর আপার প্রাইমারিতে বরাদ্দ সাড়ে সাত টাকা। এই টাকায় কীভাবে ভালো ও পুষ্টিকর খাবার পাবে বাচ্চাগুলো? প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য।
আরও পড়ুন-আদিবাসীদের জন্য দুয়ারে সরকারের শিবির
তিনি বলেন, যাঁরা এখানে এসব বলে বেড়াচ্ছেন তাঁদের উচিত দিল্লি গিয়ে এর জন্য গলা ফাটানো। তিনি আরও বলেন, দেশের অন্য রাজ্যে বছরে ১০ মাস মিড-ডে মিল পায় পড়ুয়ারা। একমাত্র এ-রাজ্যেই ১২ মাস মিড-ডে মিল চালু আছে। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র কোনও বরাদ্দ বাড়াচ্ছে না। যাঁরা রান্না করেন তাঁদের ভাতাও বাড়ানো হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা সেই মাসিক হাজার টাকা ভাতায় কাজ চালাচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের কোষাগার থেকে তাঁদের হাতে বাড়তি পাঁচশো টাকা করে তুলে দিচ্ছে। আর অনলাইনে টাকা দেওয়া নিয়ে বিরোধী নেতাকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, অনেক দিন ধরেই মিড-ডে মিলের সব খরচ অনলাইনেই করা হয়। এর জন্য একটি মনিটরিং সেলও রয়েছে। তার মাথায় রয়েছেন জেলাশাসকেরা। তাই টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও উড়িয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী।