চন্দন মুখোপাধ্যায়, সংবাদদাতা: রথের মেলার সঙ্গে মাটির পুতুলের নাড়ির বাঁধন। বাজারে প্লাস্টিকের পুতুল, খেলনার দখলদারিতে ক্রমশই আলগা সেই বন্ধন। তাতেও কাটোয়ার পাতাইহাটের পাল দম্পতি ৩০ বছর ধরে মাটির পুতুল তৈরি করে সংসার চালাচ্ছেন। ভিটের চিলতে জায়গায় শ্যাম পাল ও তাঁর স্ত্রী তুলসীর কর্মশালা। সেখানে থরে থরে সাজানো রাম-রাবণ-হনুমান, সীতা, লক্ষ্মী-নারায়ণ, শিব, গণেশ, কৃষ্ণ-রাধা, জগন্নাথ, সুভদ্রা, পাখি, ঘোড়া, ব্যাঙ— সবই মাটির।
আরও পড়ুন-একই সঙ্গে চালু হল রিউম্যাটোলজির ডে-কেয়ার পরিষেবা, এসএসকেএম-এ স্ট্রোকের বহির্বিভাগ চালু
প্লাস্টিকের খেলনার ভিড়ে আজও মৃৎশিল্পকে টেকানোর চেষ্টায় এতটুকু খামতি নেই পাতাইহাটের পাল দম্পতির। রথের মেলার জন্য পুতুলের বরাত সামলাতে গলদঘর্ম শ্যাম সগর্ব জানালেন, আমাদের তৈরি পুতুল কিনে নিয়ে গিয়ে অনেকেই কাটোয়া, দাঁইহাট, মাটিয়ারির রথের মেলায় বিক্রি করেন। বছরভর টুকটাক বিক্রি হয়। তবে রথের মেলায় বাজার ভাল হয়। তবে আগের সেই সুদিন আর নেই। বছর দেড়েক আগে শ্যাম পথদুর্ঘটনার শিকার হন। বেশিক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। বাধ্য হয়েই স্ত্রী তুলসী পুতুল গড়ার কাজে হাত লাগান। শ্যামের বাবা ছিলেন নামকরা মৃৎশিল্পী। দূরদূরান্ত থেকে বায়না আসত। দরজায় লাইন পড়ে যেত। সেসব এখন স্মৃতি। বর্তমান প্রজন্ম আর মাটির পুতুল গড়তেই চায় না।