প্রতিবেদন : পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি মেনে চলতে আমেরিকা যতই চাপ দিক না কেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় বিরাম নেই উত্তর কোরিয়ার। স্বল্পপাল্লা থেকে দূরপাল্লা, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেই চলেছে কিম জং উনের দেশ। আন্তর্জাতিক চুক্তির নিয়ম না মেনেই ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চলেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও সমালোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। তার প্রেক্ষিতে কিম স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমেরিকার সামরিক আগ্রাসনে বিপদের মুখে রয়েছে তাঁর দেশ। দেশের প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষার স্বার্থেই তিনি পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-খেলোয়াড়দের জার্সি দেবেন মন্ত্রী বীরবাহা
সম্প্রতি পরমাণু অস্ত্র বহন ক্ষমতাসম্পন্ন ২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন কিম। উত্তর কোরিয়ার দাবি, পরমাণু হামলার ক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যেই দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে। উত্তর কোরীয় সেনার দাবি, আমেরিকা এবং তার বন্ধু দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আগ্রাসন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে আমেরিকার আগ্রাসন পিয়ংইয়ংকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে অচল করে দিতেই তাদের অস্ত্র পরীক্ষা।
আরও পড়ুন-১৯ নভেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে ভারী যান-চলাচল, সাঁতরাগাছি সেতুর সংস্কার দেড় মাসেই
২০১৯ সালে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি বসেছিল উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকা। কিন্তু কিম ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। তাই উত্তর কোরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলেননি ট্রাম্প। অন্যদিকে কিম স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁদের পছন্দমতো চুক্তি না হলে তাঁরা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করবেন না।