শুরু থেকেই বাধা, বানচালের চেষ্টা, পুলিশের লাঠি, এল জলকামানও

বাংলার প্রতিবাদ দিল্লির মাটিতে আছড়ে পড়েছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদেও ভয় পেয়েছে বিজেপি। পায়ের তলার মাটি সরছে বুঝতে পেরে মরিয়া।

Must read

মণীশ কীর্তনিয়া ও নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: ছিঃ বিজেপি ছিঃ। ভীতু বিজেপি। নির্লজ্জ বিজেপি। মেরুদণ্ডহীন বিজেপি। কাপুরুষ বিজেপি। মোদি-শাহর নির্দেশে জাতির জনকের সমাধির সামনে পুলিশ আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুন্ডামি। লাঠিপেটা করা হল বাংলার সাংসদ থেকে মন্ত্রী, এমনকী দলের মহিলা নেত্রীদেরও। গোটা দেশ তাকিয়ে দেখল সেই দৃশ্য। দেখল একা বাংলার জনপ্রতিনিধিরাই শিরদাঁড়া কাঁপিয়ে দিয়েছেন দিল্লির সরকারের। তাই পুলিশ আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে আক্রমণ।

আরও পড়ুন-নিরামিষ খেয়েই প্রতিমা গড়তে বসেন মৃৎশিল্পী

অভিষেকের বার্তা, আজ মঙ্গলবার যদি কোনও বঞ্চিত মানুষের গায়ে হাত পড়ে, তার ফল ভুগতে হবে বিজেপিকে। যে ভাষায় জবাব দেওয়ার সেই ভাষাতেই দেওয়া হবে। গিরিরাজের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, উনি নাকি সিবিআই চাইছেন! ৭০০ দিন পর কেন? তৃণমূলের আন্দোলনে ভয় পেয়ে? যে যে মামলা সিবিআই তদন্ত করছে, তার কোনও ফল নেই। ব্যর্থ।

আরও পড়ুন-মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লিতে বন্ধ হল আফগান দূতাবাস

দিল্লির বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের সত্যাগ্রহ কর্মসূচিতে বেসামাল বিজেপি। বাংলার আওয়াজ রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছতেই দাঁত-নখ বের করে ফেলল অমিত শাহর পুলিশ। দুপুর একটা থেকে তিনটে পর্যন্ত রাজঘাটে শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহের জন্য সময় নেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষে। দেওয়াও হয়েছিল। দুপুর ১.১০ মিনিট থেকে বকেয়ার দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান শুরু হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। ক্ষুব্ধ অভিষেক বলেন, প্রতি ১০ মিনিট অন্তর পুলিশ আর কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে উঠে যাওয়ার হুমকি দেওয়া শুরু হয়। আমরা কেউ স্লোগান দিইনি। কোনও মিছিল হয়নি। শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলছিল। ক্যামেরায় দেখা গেল সাংবাদিকদের ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের ধাক্কা মারা হচ্ছে। রাজঘাটের পরিবেশ পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে নিজেরাই উত্তপ্ত করে তুলল। এবার সেই সুযোগ নিয়ে বিরাট র‍্যাফ আর কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে দিল শাহের পুলিশ। সত্যাগ্রহ তুলে দিতে পুলিশি হামলা।

আরও পড়ুন-

অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস এবার সত্যাগ্রহ শেষ করে রাজঘাটের বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শুরু করেন। হিন্দিতে বলা শুরু করতেই এবার সরাসরি পুলিশের হামলা, সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন ভেস্তে দিতে বাঁশির আওয়াজ। নির্লজ্জ। বেহায়া প্রশাসন। শুরু ধাক্কা, লাঠির গুঁতো, মারধোর। পড়ে গেলেন মহিলা সাংসদ আর দলীয় নেত্রীরা। রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, সহ নেতৃত্ব্বকে ধাক্কা দিয়ে বের করা হল। চটি নেই পায়। খালি পায়ে তাঁরা রাস্তায়। কারওর জামা ছিঁড়েছে। কারওর মোবাইল গায়েব। কারওর পা মুচকে গিয়েছে। মহিলাদের পোশাক অবিন্যস্ত।। অভিষেকের কনভয়ের উপর পারলে লাফিয়ে পড়ে পুলিশ। গাড়ি ঘুরিয়ে তাঁকে বের করে আনা হয়।

আরও পড়ুন-বাংলায় ইলেকট্রিক স্কুটার কারখানার সম্ভাবনা, বিপুল কর্মসংস্থান

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, আসলে পুলিশ অভিষেককে খুন করতে চেয়েছিল। ক্ষুব্ধ বাংলার নেতৃত্ব তখন আক্রান্ত। চারিদিকে পুলিশের দাপাদাপি। যেন কোনও জঙ্গি ধরা পড়েছে। অমিত শাহের এই নপুংস পুলিশের চোখের সামনেই নির্ভয়া কাণ্ড হয়, প্রতি সাতদিনে একটি করে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। আর রাজঘাটে তৃণমূলের বকেয়া বঞ্চনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহে বীরত্ব দেখানো! প্রতিবাদে রাজঘাটের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- কর্মীরা মিছিল শুরু করেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু নেতা রাস্তায় বসে পড়েন ধরনায়।
বাংলার প্রতিবাদ দিল্লির মাটিতে আছড়ে পড়েছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদেও ভয় পেয়েছে বিজেপি। পায়ের তলার মাটি সরছে বুঝতে পেরে মরিয়া। শিরদাঁড়ায় আতঙ্ক। ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লাগা হ্যায়।

Latest article