সংবাদদাতা, দিঘা : পর্যটক থেকে দিঘার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা। রথের দিন তিনি তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প পুরীর মন্দিরের আদলে দিঘায় নির্মীয়মাণ ৬৫ ফুটের জগন্নাথ ধাম নিয়ে বলেন, ‘‘জগন্নাথ দেব অনুমতি দিলে আগামী বছর দিঘাতে পুরীর মতো বড় রথযাত্রা হতে পারে।’’
আরও পড়ুন-বিজেপি বেশি প্রার্থী প্রত্যাহার করল
গত বছর অক্ষয়তৃতীয়ায় নারকেল ফাটিয়ে দিঘা রেল স্টেশন লাগোয়া ভোগীব্রহ্মপুরে জগন্নাথ মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে হিডকোর তত্ত্বাবধানে ২৫ একর জায়গা জুড়ে প্রকল্পের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মন্দিরের নকশা ও রেপ্লিকা চূড়ান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়, ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটের কাছে জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মন্দিরটি গড়ে তোলা হবে। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় প্রকল্পটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ভোগীব্রহ্মপুর মৌজায়। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্দিরের জন্য ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন। কয়েক মাস আগে কলকাতার নেতাজি ইনডোরে প্রশাসনিক বৈঠকেও মন্দিরটি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের আচরণে গর্জে উঠল ময়দান
সেই বৈঠক থেকেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দ্রুত মন্দির নির্মাণের নির্দেশও দেন তিনি। মন্দির নির্মাণ শেষ হলে নিজে সেখানে প্রথম পুজো দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। দিঘা সফরে এসে ৩ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরের নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করে যান। দিঘার জগন্নাথ ঘাটের জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বপ্নের জগন্নাথ মন্দির গড়ার কথা জানিয়ে পুরোহিতকে বলেছিলেন, ‘‘নতুন মন্দিরে রথ রাখার বড় জায়গা করে দিচ্ছি। রথের সময় এই মন্দিরটি কি মাসির বাড়ি হবে?’’ অর্থাৎ তখন থেকেই দিঘায় রথযাত্রা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর মনে। কিছুদিন আগেই তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন। মঙ্গলবার কলকাতায় ইসকনের ৫২তম রথযাত্রার সূচনা করে তিনি বলেন, ‘‘পুরীর দৈত্যাপতি আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি বলেছি, যদি জগন্নাথ দেব অনুমতি দেন তবে আগামী বছর দিঘাতে আমরা যে বিরাট মন্দির তৈরি করছি সেখানেই রথযাত্রা হতে পারে।’’