প্রতিবেদন : শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। দুই মিলে শুভনন্দন। সম্ভাষণের এক নতুন দিগন্ত। স্রষ্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন এই দিগন্ত খুলে দিলেন গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীনের সদস্যরা। এই শুভনন্দন সম্ভাষণের মধ্যে দিয়েই এদিন শুভসূচনা হল তাঁদের এবছরের দুর্গোৎসবের। ঠাকুর দেখতে মণ্ডপে পা দিলেই শোনা যাবে আন্তরিক সম্ভাষণ— শুভনন্দন।
আরও পড়ুন-মোদির জন্যই পুলওয়ামাকাণ্ড, সত্যপালের বিস্ফোরণে টালমাটাল বিজেপি
পয়লা বৈশাখের পয়লা শপথ। সম্ভাষণ থেকে পুজোর লিফলেট কার্ড, পোস্টার, ব্যানার– শুভনন্দন থাকবে সর্বত্র। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন নয়, পুজোয় শুধু শুভনন্দন। নববর্ষের দিন এভাবেই দুর্গাপুজোর শুভারম্ভ করলেন গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীনের সদস্যরা। সবাইকে মুখ্যমন্ত্রীর সৃষ্ট শব্দ শুভনন্দন ব্যবহার করার নোটিশও দিয়েছে ক্লাব। শপথ বাক্য পাঠ করালেন ড. জয়ন্ত কুশারী। গোটা বিষয়টির শাস্ত্র উপদেষ্টা নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুজো কমিটির সদস্যরা দুই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছেন। আচার্য ড. জয়ন্ত কুশারী এবং শাস্ত্র উপদেষ্টা নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁরা দু’জনেই একমত এই নতুন শব্দের ব্যবহারে। নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর ব্যাপারে সবসময় উদ্যোগী। তাঁর এই নতুন শব্দ সর্বজনীন আপন করে নিচ্ছে। শুভনন্দন জানাই।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ড. জয়ন্ত কুশারী বললেন, শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন দুটো শব্দের মধ্যে কোনওটাই আর বাদ যাবে না। স্বাস্থ্যের দিক থেকেও কোনও অসুবিধে নেই।পুজো কমিটির সম্পাদক মান্টা মিশ্র জানান, জানি না অন্য পুজো কমিটিরা কী ভাবছে। আমরা নতুন একটা দিক উন্মোচন করার চেষ্টা করলাম। আশা করি অন্যরাও অনুসরণ করবেন। শুভনন্দন। ” সত্যিই অভিবাদনের এ এক নতুন দিগন্ত।