সংবাদদাতা, তমলুক : মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও পোস্টার ছেঁড়ার প্রতিবাদ করায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নৃশংস হামলায় মারাত্মকভাবে জখম হয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন রঘুনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানা (Tarak Jana)। নিমতৌড়িতে বুধবার তাঁর প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের প্রহৃত তারকবাবুর খোঁজখবর নেন। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে পিজি হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পিজি হাসপাতালে পাঠিয়ে দাও। বাকি চিকিৎসার দায়িত্ব আমি বুঝে নেব।’ মঙ্গলবার তমলুকের রাধামণি টোল প্লাজার কাছে বাঁশ, রড, জুতো দিয়ে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় তারক জানাকে (Tarak Jana)। জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার তারক জানাকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ দেখে জেলা পুলিশ বিজেপি দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে। তারপর রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়। এই ঘটনায় তারকবাবুকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবারই রাতে তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম পঞ্চায়েত প্রধানকে দেখতে যান মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদ্য সভাধিপতি উত্তম বারিক, রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ এবং তমলুক তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। হাসপাতালে গিয়ে জখম তারক জানার সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তাঁরা। বুধবার ফের তারকবাবুর শারীরিক খোঁজখবর নিয়ে তাঁকে আরও ভালো চিকিৎসার সুবিধার্থে কলকাতায় পাঠাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস : জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য