প্রতিবেদন : নির্বাচনে একজন প্রার্থীর কি একাধিক আসনে লড়া উচিত? বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনীতির ময়দানে এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই আবেদনে দাবি করা হয়, আইন প্রণয়ন করে একজন প্রার্থীর একাধিক আসনে লড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তবে বৃহস্পতিবার ওই আরজি খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়ে দিল, বিষয়টিতে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। কারণ এটি একটি নীতিগত বিষয়। রাজনৈতিক ইস্যু। এই বিষয়ে দেশের সংসদই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রয়োজনে সংসদ এই বিষয়ে নীতি ঠিক করবে।
আরও পড়ুন-বিবাহবিচ্ছেদ চাইলে যেতে হবে পারিবারিক আদালতে : হাইকোর্ট
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দুইয়ের বেশি নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে লড়তে পারতেন একজন ব্যক্তি। তারপর রিপ্রেজেনটেশন অফ পিপল অ্যাক্ট সংশোধন করে একসঙ্গে দু’টি কেন্দ্রে লড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে আবার আইন সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়। তবে প্রস্তাব আনা হলেও সরকারি তরফে বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনও সক্রিয়তা দেখানো হয়নি। প্রশ্ন হল, কী কারণে একই ব্যক্তির দুটি বা একাধিক আসন থেকে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানানো হচ্ছে?
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতার কুৎসার জবাব দিল কুলতলি
একই ব্যক্তি দু’টি কেন্দ্রে লড়াই করে দু’টিতেই জয়ী হলে প্রকাশের পরে একটি আসন থেকে তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়। কারণ একই ব্যক্তি দু’টি কেন্দ্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। তাই যে কোনও একটি কেন্দ্রে ছয় মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন করতে হয়। উপনির্বাচনের কারণে নির্বাচন কমিশনের বিপুল পরিমাণ খরচ হয়। তাই সাধারণ মানুষের করের অর্থ সাশ্রয় করতে কেন্দ্রের কাছে আইন বদলের প্রস্তাব করেছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও এই বিষয়ে সরকার এখনও পর্যন্ত তার মতামত জানায়নি।