আসানসোলে ব্যাকফুটে বিরোধীরা

সবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলেও এখন থেকেই বিজেপি ও সিপিএম-এর পক্ষ থেকে আগাম কাঁদুনি গাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

Must read

অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল : উন্নয়নের নিরিখে বিরোধী কোনও দলই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারে-কাছেও নেই। আর সে কারণেই পুরোপুরি চাপমুক্ত হয়েই আসানসোল পুরনিগমের নির্বাচনের প্রচার ময়দানে পা রাখল শাসক দল তৃণমূল। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের আরও তিনটি পুরনিগমের সঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারি স্তরে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই নির্বাচনে রণকৌশল স্থির করতে দলের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-জমা জল দেখতে যান অন্য রাজ্যে

তবে সবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলেও এখন থেকেই বিজেপি ও সিপিএম-এর পক্ষ থেকে আগাম কাঁদুনি গাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। দুটি দলের পক্ষ থেকেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তোলা হয়েছে। মোট ১০৬টি ওয়ার্ড নিয়ে আসানসোল মেগা কর্পোরেশন রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরনিগম। ২০১৫ সালের আগে শুধু আসানসোল শহরকে কেন্দ্র করেই ছিল এই কর্পোরেশনের পরিধি। পরবর্তীকালে কুলটি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া এই তিন পুরসভার সংযুক্তি ঘটানো হয় আসানসোলের সঙ্গে। গত নির্বাচনে ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৯টি ওয়ার্ডে জয় পায় শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ডে বিভিন্ন দল থেকে আরও ১৪ জন যোগ দেওয়ায় বর্তমানে দলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩ জন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পরিবর্তনের উত্তাল হাওয়ায় প্রায় খড়কুটোর মতো উড়ে যায় বাম শিবির।

আরও পড়ুন-কলকাতা পুরসভার মুখ্য সচেতক হলেন বাপ্পাদিত্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানালেন কৃতজ্ঞতা

রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার আগেই এই পুরনিগমে ক্ষমতায় আসে ঘাসফুল শিবির। ফলে গত দশ বছরে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করার সুযোগ পায় তৃণমূল। আসানসোলের যে ভয়ঙ্কর জলসংকট দীর্ঘ ৩৪ বছরেও সমাধান করতে পারেনি বামফ্রন্ট, তৃণমূল ক্ষমতায় এসে সেই জলসংকটের প্রায় সিংহভাগই সমাধান করতে সমর্থ হয়েছে। আসানসোলে নির্বাচন ঘোষণার পরই সোমবার রাত থেকেই আদর্শ আচরণ বিধি বলবৎ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন-রাজ্য পুলিশের ডিজি হিসেবে মনোজ মালব্যর নামে সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

মহকুমা শাসক অভিজ্ঞান পাঁজা জানান, আগামী ২২ জানুয়ারি এই মেগা কর্পোরেশনের নির্বাচনের জন্য জিটি রোড লাগোয়া সেন্ট জোসেফ হাইস্কুল থেকে মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া যাবে। কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন করার প্রয়োজন হলে তা ২৪ জানুয়ারি সম্পন্ন হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই সেন্ট জোসেফ স্কুল চত্বর পরিদর্শন করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ সোনাওয়ানে। এদিকে বিরোধীদের তোলা যাবতীয় কুৎসা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি. শিবদাসন দাশু। তিনি বলেন, রাজ্যের কোথাও কোনও নির্বাচন হলেই বিরোধীরা নানা ধরণের কাঁদুনি গাইতে থাকেন। ক্ষমতায় কাদের আনতে হবে সেটা মানুষ আগেই ঠিক করে রেখেছেন। কাজেই ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে তৃণমূলের কোন চাপই নেই। আমরা প্রস্তুত আছি।

Latest article