প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে রামনবমীতে দেশের একাধিক রাজ্যে দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। এই দাঙ্গার জন্য দেশের প্রায় সবক’টি বিরোধী দল একযোগে বিজেপিকেই দায়ী করেছে। এই দাঙ্গা ও সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথমদিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ স্পষ্ট বলেছেন, সিবিআই ও এনআইএ তদন্ত করলেই জানতে পারবে বিজেপি কীভাবে অশান্তি তৈরি করছে। এই অশান্তি ও হিংসা সবটাই বিজেপির পূর্বপরিকল্পিত।
আরও পড়ুন-বঙ্গ বিজেপির দুই মহিলা সাংসদের প্রকাশ্য ঝগড়া
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, ২০২৪-এর ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখেই দাঙ্গায় মেতেছে বিজেপি। কারণ ওরা বুঝে গিয়েছে যে, মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। সে কারণেই ওরা মেরুকরণের রাস্তায় নেমে পড়েছে। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, রামনবমীতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত। ভোটের কথা মাথায় রেখেই ওরা এ ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটাচ্ছে। বিহারে রামনবমীর অশান্তির ঘটনায় বিজেপিকে অভিযুক্ত করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহার বিধানসভায় কংগ্রেস দলনেতা অজিত শর্মা বলেছেন, বিজেপি মানুষের মনে ১৯৮৯ সালের দাঙ্গার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। সেবার বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। যাঁদের পরিবার এখনও বিচার পায়নি। বিহারের ক্ষমতা দখল করতে বিজেপি সেই রাস্তাতেই হাঁটছে।
আরও পড়ুন-মোদি জমানার গৈরিকীকরণ! পাঠ্যসূচি থেকে মোছা হল মুঘল জমানার ইতিহাস
বিহারে এক সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন বিজেপির শাসনে দাঙ্গা হয় না। সোমবার রীতিমতো পরিসংখ্যান পেশ করে শাহর ওই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন সাংসদ কপিল সিবাল। এই প্রবীণ সাংসদ তথা আইনজীবী শাহর ওই মন্তব্যকে আরও একটি জুমলা বলে উল্লেখ করেছেন। সিবাল বলেন, এনসিআরবির তথ্য বলছে, ২০১৪ থেকে ২০২০ সালে গোটা দেশে ৫৪১৫টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটেছে। ২০১৯ সালে ২৫টি দাঙ্গা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দাঙ্গা হয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। এছাড়াও বিজেপি শাসিত হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকেও একের পর এক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে।