নয়াদিল্লি : বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনে অধিবেশন শুরু হতেই বিজেপি ঘনিষ্ঠ আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার জালিয়াতি ইস্যুতে উত্তাল হল সংসদের দুই কক্ষ । শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থাগুলির বিষয়ে বিরোধীরা আলোচনার দাবি জানান। সংসদের দুই কক্ষে প্রবল হট্টগোল শুরু হয়। এরপর দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার বাজেট অধিবেশন।
আরও পড়ুন-পুড়ে ছাই ১৮ দোকান
পরে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরা একযোগে হেঁটে এসে বিজয়চকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আদানি গোষ্ঠীর ধারাবাহিক শেয়ার পতনের সঙ্গে সঙ্গে এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারমূল্য হারাচ্ছে, কারণ এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি আদানিদের সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল। অন্যদিকে এইসব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় কোটি কোটি ভারতীয়র কষ্টার্জিত অর্থ সঞ্চিত আছে। ফলে এই বিষয়টির সঙ্গে সাধারণ মানুষের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। এক্ষেত্রে বিরোধীরা যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠন এবং সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি তোলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজয়চকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন এবং শান্তা ছেত্রী।
আরও পড়ুন-বাজেটের আগে বিধায়কদের প্রশিক্ষণ
অধিবেশন শুরুর আগে নিজেদের রণকৌশল সাজাতে সংসদ ভবনে মিলিত হন বিরোধী নেতারা। বৈঠকে কংগ্রেস ছাড়াও তৃণমূলের তরফে হাজির ছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছিলেন ডিএমকে, শিবসেনা, বাম, জেডিইউ, এনসিপি সহ একাধিক বিরোধী দলের প্রতিনিধি। ১৩টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি বৈঠকে হাজির থেকে এবারের অধিবেশনে বিজেপি ঘনিষ্ঠ আদানি গোষ্ঠী ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। এই আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের পাশাপাশি জেপিসি গড়ার দাবি ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, শিল্পপতি গৌতম আদানি বিজেপি শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ট। কাজেই সরকারি তদন্ত আদৌ নিরপেক্ষ হবে কিনা সংশয় রয়েছে।