ঝালদা কাণ্ডে ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পুলিস সুপারকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন আইসি নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তপন কান্দুকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই অভিযোগের স্বপক্ষে আবার নতুন করে একটি অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। ক্লিপটি সামনে এনেছেন তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু।
আরও পড়ুন-নাট্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাত্য বসু, দেবশঙ্কর হালদার
অডিও ক্লিপে মিঠুন কান্দু বলেন , “হ্যাঁ কথা হল, বলল তো আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল ভিতরে, চেয়ারম্যানশিপটার ব্যাপারে বলছে।” এরপর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বলেন, “চেয়ারম্যান হবে না, আমি বলে দিয়েছি ভাইসটা হলে হবে বা বাদ বাকিগুল হবে। চেয়ারম্যান টিএমসির লোগোতে যারা জিতেছে তারাই হবে, তার বাইরে হবে না। আমি তো তোকে প্রথম দিনই বলে দিলাম।’
আরও পড়ুন-রুশ হামলায় গুরুতর আহত ফক্স নিউজের সাংবাদিক বেঞ্জামিন হল
মিঠুন কান্দু এর উত্তরে জানান, “সকালেও কথা হল, বললাম যে তাহলে কী বলব? জানাচ্ছি বলছে, বলছে আঠেরো তারিখ তো আমাদের বোর্ড গঠন হবে, হোলির পর।’ উত্তর আসে “আমাকে আর একটা দিন টাইম দিন, আমি ভেবে জানাব। ভেবে জানিয়ে এভাবে কিছু লাভ নেই। তুই যদি টাইম পাস একবার আমার সাথে দেখা কর, তোর সামনাসামনি আমি বলে দিচ্ছি আরও ডিটেল। তুই তাহলে এখনই চলে আয় পুরনো থানায়…”
তপন কান্দুর স্ত্রী এসপি-কে লেখা চিঠিতে এই খুনের জন্য ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ এবং তৃণমূল নেতাদের মধ্যে যোগাযোগের কথা বলেছেন। এই নিয়েই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের যুক্তিতে অনড় থাকেন এবং স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন,’ রং দেখে বিচার করা হয় না, যেকোন মৃত্যুই দুঃখের’।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অডিওটি শুনছি দেখছি আপনাদের কাছে, আমি নিজেই শুনিনি, তাই সেটা কতটা সত্যি কতটা মিথ্যে আমি জানিনা। কিন্তু এটুকু জানি গতকালই যখন ঘটনাটা মানুষের কাছে জানাজানি হয়েছে ওই জেলার এসপি নিজে এগিয়ে এসে বলেছেন যে লিখিত ভাবে জানালে নিশ্চই ব্যাপারটা দেখবো। এর থেকেই প্রমাণ হয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে রাজ্য সরকার চলছে তা কোন পক্ষপাতের নয়। রং দেখে বিচার করা হয় না, যেকোন মৃত্যুই দুঃখের। যেকোন রক্তপাতের ঘটনা আমাদের বেদনা দেয়। আমি নিজে মনে করি যে এতে রং না দেখে পতাকা না দেখে সত্য অনুসন্ধান হবে এবং তদন্তে প্রকাশিত হবে কে দোষী এবং প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’