পতঞ্জলি (Patanjali) মামলায় চূড়ান্ত রায় না দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল গ্রীষ্মাবকাশের পরে ৯ জুলাই ফের শুনানি হবে। কিন্তু এর মধ্যেও স্বস্তি নেই পতঞ্জলির। পতঞ্জলিকে জানাতে হবে, ঠিক কত পরিমান বিতর্কিত ওষুধের স্টক তাদের কাছে রয়েছে। এর মাঝে নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রামদেব এবং সংস্থার সিইও বালকৃষ্ণকে সশরীরে আদালতে হাজিরা না দিলেও চলবে। আইএমএ প্রধান এই নিয়ে টানা তিন বার তিরস্কৃত হলেন। আদালতের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্যের জেরে তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনা মানে নি সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-‘বিজেপি বাংলাকে চায় না’, দিল্লিতে বিকল্প সরকার তৈরিতে সাহায্য করবে তৃণমূল: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
আজ বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ এই বিষয়ে জানায়, জনসাধারণের উপরে রামদেবের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং এই অবস্থায় তাঁর উচিত সেটাকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা। পতঞ্জলির আইনজীবী বলবীর সিংহ আদালতকে জানান, পতঞ্জলি কোভিডের বিতর্কিত ‘ওষুধ’ বিক্রি বন্ধ করেছে এবং যে সব টিভি চ্যানেলে এখনও তার বিজ্ঞাপন চলছে, তাদের চিঠি লিখে সেগুলো বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও কত ওষুধ স্টকে রয়েছে, সেটা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে আদালতে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার মুখে রামদেবের প্রশংসা শুনে বিচারপতি কোহলি বলেন, ‘‘যোগ নিয়ে ভাল কাজ করেছেন। তবে পতঞ্জলির পণ্য সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।’’
আরও পড়ুন-নিউজক্লিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থকে মুক্তির নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মামলাকারী ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) নিজেও আদালতের বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের কোপে পড়েছে। টানা তিন সপ্তাহ সুপ্রিম কোর্টে তার জন্য তিরস্কৃত হতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর আইনজীবী গত সপ্তাহে জানান, প্রশ্নের ফাঁদে পড়ে বেফাঁস কথা বলেছেন অশোকান। তিনি আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
আরও পড়ুন-কানপুরের ১০টি স্কুলে বোমাতঙ্ক, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরানো হল পড়ুয়াদের
অশোকান হলফনামা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কিন্তু সেটাতে একেবারেই খুশি নয় কোর্ট। বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘‘আপনার কথায় আদালতের যে সম্মানহানি হল, তার ক্ষতিপূরণের জন্য আপনি কী করেছেন? আপনি কি প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন? আমরা সবার আগে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু কিছু কিছু সময় আত্মনিয়ন্ত্রণেরও প্রয়োজন আছে।’’