সংবাদদাতা, হুগলি : শৈবতীর্থ তারকেশ্বর (Tarakeswar) মন্দিরে শনিবার সকাল থেকেই শিবরাত্রির (Shivratri) পুজো দিতে ভক্তদের ঢল নামা শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় উপচে পড়ে মন্দিরে। মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে বিশেষ পুজো হয় সারাদিন ও রাত জুড়ে। তিথিমাফিক প্রথম প্রহরের পুজো হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। তিন ঘণ্টা পর পর বাকি তিন প্রহরের পুজো হবে। স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী এই দিনে শিব-পার্বতীর বিবাহ সম্পন্ন হয়। যদিও স্কন্দ পুরাণ থেকেই জানা যায়, বিষ্ণু ও ব্রহ্মার মধ্যে কে বড় তা নিয়ে যুদ্ধ আসন্ন হলে দুজনের সামনে জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে উপস্থিত হন দেবাদিদেব মহাদেব। সেই লিঙ্গ থেকে দৈববাণী ভেসে আসে আদি-অন্ত যে খুঁজে পাবে সে-ই বড়। যেদিন এই জ্যোতির্লিঙ্গ প্রকট হয় সেই দিনটিকেই বলা হয় শিবরাত্রি। শিবমহাপুরাণ মতে, সমুদ্রমন্থনের সময় কালকূট বিষ কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন মহাদেব। কালকূট পান করার পর সব দেবতা সারা রাত নিজেরা জেগে মহাদেবকেও জাগিয়ে রেখেছিলেন, তাই দিনটিকে শিবরাত্রি বলা হয়। সনাতন ধর্মের উপবিভাগে যত ধর্ম আছে সকলেই মহাদেবকে উচ্চস্থানে রেখে পুজো করেন, অর্থাৎ সব দেবতার উপরে দেবাদিদেব মহাদেব। শিবরাত্রি উপলক্ষে তারকেশ্বর (Tarakeswar) মন্দিরে বহাল ছিল বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দূরদূরান্তের ভক্তরা নিশ্চিন্তে পুজো দেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মেলা শুরু হল