পুলিশ সঠিক তদন্ত না করায় উত্তরপ্রদেশে থানার সামনে বিষপান গণধর্ষিতার

বিজেপি জমানায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ধর্ষণ আর নারী নির্যাতনের ঘটনা এখানে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়।

Must read

প্রতিবেদন : যত কাণ্ড সেই উত্তরপ্রদেশে। ফের সেই লখিমপুর খেরি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় কৃষকমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশে। আর এবার গণধর্ষিতার বক্তব্যকে গুরুত্ব না দেওয়ার মারাত্মক অভিযোগ যোগীরাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে।
বিজেপি জমানায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ধর্ষণ আর নারী নির্যাতনের ঘটনা এখানে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এবার এমনই এক অভিযোগ ঘিরে লখিমপুর খেরিতে থানার গেটের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক নির্যাতিতা মহিলা। অভিযোগের তির পুলিশের দিকে। মহিলার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এক বছর আগে ধর্ষণের শিকার ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন। সুবিচার না পেয়ে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। পুলিশের জবানবন্দি নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের পুলিশ কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। আত্মহত্যার চেষ্টার পর বর্তমানে পুলিশ ওই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

আরও পড়ুন-ব্লক সভাপতি দেবাশীষ এখনও থাকেন মাটির কাছাকাছি

৩২ বছরের ওই মহিলার অভিযোগ, গত বছর ১৭ জানুয়ারি গ্রামের দু’জন তাঁর উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। থানায় তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও তদন্ত করেনি। উল্টে তাঁকেই হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে এবং অপমানিত হতে হয়েছে বারবার। পাল্টা লখিমপুর খেরি পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেই কারণে ১২ জুন ২০২২-এ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলার পুনঃপরীক্ষা চলছে। নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। তাঁর অভিযোগকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। এবছর আবার থানায় গেলে পুলিশ অপমান করে তাঁকে। পুলিশ অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে দাবি করেন নির্যাতিতা। সঠিক বিচার পাওয়ার কোনও আশা নেই দেখেই মানসিক যন্ত্রণা ও অবসাদে তিনি থানার ভেতরেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার  গণেশ প্রসাদ সাহা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে খেরি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছেন।

Latest article