লাগামছাড়া আলু, কড়া কৃষিমন্ত্রী

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : নিম্নচাপের জেরে ফসল নষ্ট। দর বেড়েই চলেছে আনাজপাতির। এবার আলুসিদ্ধ ভাত খাওয়ারও জো রইল না। কারণ বাড়ছে আলুর দর। ৫০ কেজি বস্তার দর ১০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। অথচ হিমঘরগুলিতে পর্যাপ্ত আলু রয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ৭৭টি হিমঘরে মজুত আলুর পরিমাণ ২০ লক্ষ কুইন্টাল। তাও বাজারে আলুর জোগান কমায় আলুর দর বাড়াকে ‘ম্যান মেড ক্রাইসিস’ বলছেন সাধারণ ক্রেতারা। এ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হয়েছে ঠিকই, তবু যে পরিমাণ আলু হিমঘরে আছে, তাতে আলুর জোগান কম হওয়া উচিত নয়, দাম বাড়াও উচিত নয়। আমি জেলাশাসককে নির্দেশ দিচ্ছি, কালোবাজারি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’

আরও পড়ুন : আধার না মিললেও মিলবে রেশন

নিয়ম মোতাবেক নভেম্বর মাস পর্যন্ত হিমঘরে আলু থাকে। এবার সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তাতে গোটা জানুয়ারি পর্যন্ত বাজারে আলুর টান পড়ার কথা নয়। বাজারে জ্যোতি আলুর দর এর মধ্যে কেজি প্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ২০/২২ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চন্দ্রমুখী ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে ২৫/২৭ টাকায় বিকোচ্ছে। আলু চাষের মরশুম পিছিয়ে যাওয়ায় জ্যোতি আলু লাগানো গেলেও চন্দ্রমুখীর চাষ একরকম করাই যাবে না বলে দাবি কৃষকদের। সবমিলিয়ে ১,০৮,২১০ হেক্টর জমির ধান কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ১৪,১১৫ হেক্টর জমির সরষে ক্ষতিগ্রস্ত। অকাল বর্ষণে সবজির দফারফা হওয়ায় নতুন করে সবজি বুনে ফলাতে সময় ও অর্থ দুটোই লাগবে।

Latest article